পশ্চিমবঙ্গ উপকূল থেকে আরও কিছুটা ওড়িশার দিকে সরে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ। অর্থাৎ বুধবার দুপুরে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রূপে ইয়াস ওড়িশার পারাদ্বীপ ও পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপের মধ্যে ওড়িশার বালেশ্বরের দক্ষিণ ও ধামরার উত্তর দিক দিয়ে অতিক্রম করবে বলে পূর্বাভাস। বেশ খানিকটা গতি বাড়িয়েছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। গতি বাড়িয়ে স্থলভাগের দিকে ধেয়ে আসছে ইয়াস। মৌসম ভবন মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটের বুলেটিনে জানিয়েছে, গত ৬ ঘণ্টা ধরে ঘণ্টায় ১৭ কিলোমিটার গতিবেগে এগোচ্ছে ইয়াস। আর তার ফলেই স্থলভাগের থেকে ক্রমশ দূরত্ব কমছে তার। ঘূর্ণিঝড় যত স্থলভাগের দিকে এগোবে তত তার গতিবেগ বাড়বে বলেই জানিয়েছে মৌসম ভবন।
পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা- এই দুই রাজ্যের পুলিস আধিকারিকরা ব্যস্ত নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলতে। ইতিমধ্যে বাংলা থেকে উড়িষ্যার পথে যাওয়া গাছ আটকে দেওয়া হয়েছে। তৈরি রেসপন্স টিম অত্যাবশ্যকীয় গাড়ি ছাড়া কোন যানবাহনকেই যেতে দেওয়া হচ্ছে না। নজরদারি রেখেছেন প্রশাসনের কর্তারা। এর পাশাপাশি মঙ্গলবার দাঁতনের ত্রাণশিবিরেও গিয়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিস সুপার দিনেশ কুমার। তিনি সরোজমিনে দাঁতনের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন। প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ১০৩১ টি ত্রাণশিবিরে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার বেশি মানুষকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। ইতিমধ্যে এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া চলছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ১০৩১ টি ত্রাণশিবিরে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার বেশি মানুষকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। ইতিমধ্যে এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া চলছে।