শুক্রবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানান হয়েছে যে অ-মুসলিম শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু হবে। আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ এবং গুজরাট, গুজরাট, রাজস্থান, ছত্তিসগড়, হরিয়ানা, পাঞ্জাবের মতো রাজ্যর ১৩ জেলায় বসবাসকারী হিন্দু, শিখ, জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ভারতীয় নাগরিকত্বের আবেদন করার বিজ্ঞপ্তি শুক্রবার জারি করেছে কেন্দ্র। এই পর্বে এই সুযোগ পাচ্ছেন গুজরাটের মোরবি, রাজকোট, পাটন ও বদোদরার বসবাসকারী অ-মুসলিমদের পাশাপাশি রাজস্থানের ঝালোর, বারমের, সিরোহি, উদয়পুর, পালির অ-মুসলিম বাসিন্দারা। আর পাচ্ছেন ছত্তিশগড়ের দুর্গ ও বালোদাবাজার, পাঞ্জাবের জলন্ধর এবং হরিয়ানার ফরিদাবাদের অ-মুসলিমরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আগত মানুষদের করা আবেদনের সত্যতা প্রথমে যাচাই করে দেখবেন সংশ্লিষ্ট রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব কিংবা জেলাশাসকরা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, তবেই তাঁদের ভারতীয় নাগরিক হিসেবে নাম নথিভুক্ত করে নাগরিকত্বের শংসাপত্র দেওয়া হবে’।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, নাগরিকত্ব আইন ১৯৫৫ এবং ২০০৯ সালের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের আওতায় শীঘ্রই এই নির্দেশিকা কার্যকর করতে হবে। যদিও এখনও পর্যন্ত ২০১৯ সালের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন চালু করা সম্ভব হয়নি কেন্দ্রের তরফে। ২০১৯ সালে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ হয়। ১০ ডিসেম্বর ২০২০ থেকে সিএএ লাগু হয় দেশে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব অনিল মালিকের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯, ধারা ১, উপধারা ২ মেনে ১০, জানুয়ারি ২০২০ থেকে আইন কার্যকর করা হল।' পরবর্তীতে করোনা হানায় বন্ধ হয়েছিল সব প্রক্রিয়া।