জানা গিয়েছে, রাজ্যসভার ২ আসনে নির্বাচন নিয়ে রাজ্যের অবস্থান জানতে চায় নির্বাচন কমিশন (Election Commission) । মানস ভুঁইয়া ও দীনেশ ত্রিবেদী ইস্তফা দেওয়ায় রাজ্যসভার ২ আসন ফাঁকা। বিধানসভা সচল থাকায় শীঘ্রই ভোট করা যাবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। একইসঙ্গে ৭টি কেন্দ্রে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উপনির্বাচনের প্রস্তাব দেওয়া হয় রাজ্যের তরফে। ওই প্রস্তাবে সবুজ সংকেত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission) । নবান্ন সূত্রের খবর, নির্ধারিত ৬ মাসের মধ্যেই উপনির্বাচন হতে চলেছে। গত ২৩ জুন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেছিলেন,'অনেকগুলি কেন্দ্রে বাকি উপনির্বাচন। আমরা চাইব উপনির্বাচন জলদি হয়ে যাক। প্রচারের সময় দেওয়া হোক ৭ দিন। সকাল ১০ থেকে ৭টা পর্যন্ত প্রচারের সময় দিলেই হবে।'
বিভিন্ন পরিস্থিতিতে রাজ্যের সাতটি আসনেও নির্বাচন প্রয়োজন। বিধানসভার ভোটের সময় জঙ্গিপুরে আরএসপি প্রার্থী প্রদীপ নন্দী ও সামসেরগঞ্জে কংগ্রেস প্রার্থী মন্টু বিশ্বাস করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হওয়ায়ওই দুই কেন্দ্রে ভোট করা যায়নি। আর খড়দহে তৃণমূলের বিজয়ী প্রার্থী কাজল সিংহ ফলাফল ঘোষণার আগেই প্রয়াত হন। দিনহাটা ও শান্তিপুর থেকে বিজেপি-র প্রতীকে জিতেও সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার পদত্যাগ করেছেন। আরভবানীপুর আসন থেকে জিতেও পদত্যাগ করেছেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সদ্য প্রয়াত হয়েছেন গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর। তাই পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন করতে হবে। আর ২টি কেন্দ্রে সাধারণ নির্বাচন হবে।