কলকাতায় ধরা পড়ল জঙ্গি সংগঠনের একাধিক সদস্য। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, জঙ্গি সংগঠন জেএমবি-র তিন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা প্রত্যেকেই বড় মাপের নেতা বলে অনুমান করা হচ্ছে। ধৃতরা সবাই বাংলাদেশ থেকে এ রাজ্যে এসেছে। তবে তারা কী কারণে এসেছিল? কোনও জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা ছিল কি না, ওই সদস্যদের সঙ্গে আল কায়দা জঙ্গি গোষ্ঠীর কোনও সম্পর্ক আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ধৃতদের যে মোবাইল ফোনগুলো বাজেয়াপ্ত হয়েছে, তার থেকেই মিলেছে প্রচুর তথ্য। গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে বেশ কয়েকজন জেএমবি শীর্ষ নেতার ফোন নম্বর। তাঁরা জানতে পেরেছেন, জোসেফ ওরফে নাজিউর রহমানের নামে আগেও বহু কেস ছিল। তিন বছর জেলও খেটেছে জোসেফ। জেএমবি শীর্ষ নেতা আল আমিনের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। বাংলাদেশের জেল থেকে জোসেফের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত ওই জঙ্গি নেতা। তবে ফের কেন জেএমবি স্লিপার সেলের সদস্যরা সক্রিয় হলেন? তবে কি নতুন কোনও অ্যাসাইনমেন্ট পেয়েছিল এরা? তবে কি এদের কোনও নাশকতার ছক ছিল? ধৃতদের জেরা করে এই সমস্ত প্রশ্নেরই উত্তর পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের সোমবার আদালতে তোলা হবে।
জেএমবি জঙ্গি গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যে সন্ত্রাস সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। খাগড়াগড়-কাণ্ড যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ। এ ছাড়া মালদহ ও মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে এই সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়েছে। যা থেকে পুলিশ আধিকারিকরা মনে করছেন, এই জঙ্গিগোষ্ঠী যথেষ্ট সক্রিয় রয়েছে। তবে বর্তমানে ধৃতরা নব্য না আদি গোষ্ঠীর সদস্য তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে এর আগে জেএমবি সংগঠনের একাধিক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ বাহিনী। বর্তমানে ধৃতরা ওই জঙ্গি সংগঠনের বড় মাপের নেতা বলেই মনে করছে পুলিশ।