অবশেষে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন বি এস ইয়েদুরাপ্পা (B S Yediyurappa)। সোমবার এমনটাই জানালেন বিজেপির এই প্রবীণ নেতা। বেশ কিছুদিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন ইয়েদুরাপ্পা। শেষমেষ নিজের সিদ্ধান্ত জানালেন তিনি। একপ্রকার নিশ্চিত হল তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ। বৃহস্পতিবারই জানিয়ে দিয়েছিলেন, দলীয় নেতৃত্ব তাঁকে যা নির্দেশ দেবে তাই মেনে চলবেন তিনি। তারপরেই কর্ণাটকের মসনদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন ইয়েদুরাপ্পা। তিনি জানিয়েছিলেন, ''হাইকমান্ডের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছি। আমাকে তা জানান হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।'' বিধানসভার অধিবেশনে বক্তৃতা করতে গিয়ে ইয়েদুরাপ্পা বলেন, ‘‘দুপুরেই পদত্যাগ করছি। অটলবিহারী বাজপেয়ী যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তিনি আমায় কেন্দ্রের মন্ত্রী হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু আমি কর্নাটক ছেড়ে যেতে চাইনি। আমায় বরাবরই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। বিশেষ করে কোভিডের এই দু’বছর।’’
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক মাস ধরে কর্ণাটকের শীর্ষস্থানীয় বিজেপি নেতাদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল ইয়েদুরাপ্পার। তাছাড়াও সাম্প্রতিক বেশ কিছু ঘটনায় চাপও বাড়ছিল তাঁর উপর। দলীয় রাজ্য নেতৃত্ব নাকি রদবদলের দাবি করেছিল। যার জেরে জোরালো হচ্ছিল মুখ্যমন্ত্রীত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর দাবি। ইয়েদুরাপ্পার পদত্যাগের পর কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে নাম উঠছে আর অশোক, বাসবরাজ বোম্মাই, মুর্গেশ নিরানি, অশ্বথ নারায়ণ, সিটি রবি, প্রহ্লাদ যোশী। যার জেরে জোরালো হচ্ছিল মুখ্যমন্ত্রীত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর দাবি। ইয়েদুরাপ্পার পদত্যাগের পর কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে নাম উঠছে আর অশোক, বাসবরাজ বোম্মাই, মুর্গেশ নিরানি, অশ্বথ নারায়ণ, সিটি রবি, প্রহ্লাদ যোশী।