কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের শুক্রবারের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ হাজার ২৩০ জন। সেই তুলনায় কিছুটা কমেছে মৃত্যু। একদিনে করোনা কোপে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৫৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪২ হাজার ৩৬০ জন। বৃহস্পতিবার করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৬০০-র ওপরে ছিল। তবে সামান্য কমছিল সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একদিনে আক্রান্ত হয়েছিল ৪৩ হাজার ৫০৯ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে বৃহস্পতিবার ৪৭ লক্ষ দেশবাসীকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। দেশে মোট টিকাকরণের সংখ্যা পেরিয়েছে ৪৫ কোটি ৫৫ লক্ষের গণ্ডি।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারই রাষ্ট্রপুঞ্জের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক দফতর জানিয়েছিল, গত চার সপ্তাহ ধরে পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতে গড়ে প্রতি সপ্তাহে ৩ লক্ষ ১০ হাজার মানুষ নতুন করে করোনা সংক্রমিত হচ্ছেন। গড় সাপ্তাহিক মৃত্যুর হারও সাড়ে তিন হাজারের কাছাকাছি। সংক্রমণের এই পরিসংখ্যান ৫৫ শতাংশ এবং মৃত্যু সংখ্যা ১৫ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছিল তারা। শুক্রবার পশ্চিম এশিয়ায় হু-এর আঞ্চলিক প্রধান চিকিৎসক আহমদ আল মান্ধারি বলেন, ‘‘পশ্চিম এশিয়ায় আমরা এখন চতুর্থ ঢেউয়ের কবলে।’’ দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহতা কাটিয়ে উঠে তৃতীয় ঢেউয়ের আগাম প্রস্তুতি শুরু করেছে ভারত। এরই মধ্যে করোনার ডেল্টা রূপের প্রভাবে পশ্চিম এশিয়ার চতুর্থ ঢেউ উদ্বেগ বাড়িয়েছে। তবে হু জানিয়েছে, টিকাকরণের ক্ষেত্রে গাফিলতিই পশ্চিম এশিয়ার এই চতুর্থ ঢেউয়ের কারণ।