পশ্চিমবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি
চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ডিভিসির ইচ্ছে মতো জল ছাড়ার কারণেই ২০১৫, ২০১৭, ২০১৯ সালের পর আবার এই বছর রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হল। চিঠিতে মমতা জানান, নিম্নচাপের কারণে বিগত কয়েক দিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডে টানা বৃষ্টি হয়ে চলেছে। আর এই সময়ে মাইথন, পাঞ্চেত ও তেনুঘাট জলাধার থেকে প্রায় দু’লাখ কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি, যার জেরেই রাজ্যের হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রাণহানি ছাড়াও লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা বিপর্যস্ত।
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ১ লক্ষ ১৩ হাজার ১৮১ জনকে দুর্গত এলাকা থেকে সরানো হয়েছে। ৩৬১ ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন ৪৩ হাজার ১৯২ জন। মৃতের সংখ্যা ২৩। এর মধ্যে দেওয়াল ভেঙে ৭, জলে ডুবে ৭, বজ্রপাতে ৬ ও তড়িদাহত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। কালিম্পং ধসে চাপা পড়ে মারা গিয়েছেন ২ জন। আনুমানিক ৪ লক্ষ হেক্টর কৃষিজমি প্লাবিত। তার ৬০ শতাংশ জমিতে বীজ রোপন করা হয়েছিল। দু-একদিনের মধ্যে জল না নামলে প্রভূত ক্ষতির আশঙ্কা করছে কৃষি দফতর।
বাংলায় বন্যা পরিস্থিতির জেরে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহযোগিতার ঘোষণা করলেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। আহতদের দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা। প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় (PMO) টুইট করেছে,'প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বন্যার জেরে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। আহতরা পাবেন ৫০ হাজার টাকা।'