স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যা বললেন

A G Bengali
 দেশের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে দেশবাসীকে কবিতা শুনিয়ে নিজের ভাষণ শেষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কবিতার মাধ্যমে দেশবাসীকে একজোট হয়ে দেশের উন্নতির জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু কী কী বললেন প্রধানমন্ত্রী ? দেখে নিন একনজরে -
* সকল ভারতবাসী এবং বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র প্রেমীদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। দেশের জন্য নিজেদের প্রাণ উৎসর্গ করা গান্ধীজি, নেতাজি, ভগত সিং, মাতঙ্গিনি হাজরা, ঝাঁসি রানিকে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করেন নরেন্দ্র মোদীর। সম্মান জানালেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকেও।
* স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে করোনা যোদ্ধাদের উল্লেখ করে বিশেষ সম্মান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি বললেন, ‘অলিম্পিয়ানরা শুধু আমাদের মন জয় করেননি, তাঁরা পরবর্তী প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করেছেন।’
* লালকেল্লায় আমন্ত্রিত অলিম্পিয়ানদের উদ্দেশে তালি বাজিয়ে সম্মান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
* এখন থেকে প্রতিবছর ১৪ অগস্ট ভারতে বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস পালিত হবে।
* গর্বের সঙ্গে বলতে পারি আজ যে বিশ্বের সর্ববৃহ টিকাকরণ আমাদের দেশে চলছে। টিকার জন্য অন্য কোনও দেশের উপর নির্ভর করে থাকতে হয় না। ৫৪ কোটি মানুষ ইতিমধ্যেই টিকা পেয়েছেন।
* ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস ও সবকা প্রয়াস’, এটাই নয়া ভারতের স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার। ভবিষ্যতে শহরের মতোই পরিষেবা পাবে গ্রামবাসীরা। এটাই ভারতের সংকল্প।
* ‘ঊজ্জ্বলা থেকে আয়ুষ্মান সহহ আরও অনেক প্রকল্পের সুবিধা পায় দেশের গরিব মানুষয়। অনেক দ্রুত আমরা এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। আরও এগোতে হবে। গ্রামে ১০০ শতাংশ রাস্তা, ১০০ শতাংশ পরিবারের কাছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, বিদ্যুৎ, আবাস যোজনার মাধ্যমে সকলকে জুডে দিতে হবে।’
* ‘উত্তর-পূর্বের সব রাজ্যের রাজধানীকে রেলের মাধ্যমে জুড়তে হবে।’
* ‘পূর্ব ভারত হোক, উত্তর-পূর্ব হোক কী জম্মু-কাশ্মীর, সব জায়গাতে বিকাশ পৌঁছে দিতে হবে।’
* ‘সুলভে ওষুধ মিলছে। হাসপাতালের পাশে অক্সিজেন প্লান্ট হচ্ছে। বিকাশ সর্ব স্তরে হওয়া উচিত। গত ৭৫ বছরে এই লক্ষ্যেই প্রচেষ্টা চলছে। এটিকে আরও দ্রুত গতিতে করতে হবে।’
* ‘জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়ন তোছে দেখা যাচ্ছে। ডিলিমিটেশনের কাজ চলছে। ভবিষ্যতে উপত্যকায় বিধানসভা ভোট হবে। একদিকে লাদাখ নয়া পরিকাঠামোয় উন্নয়নের সাক্ষী থাকছে, অন্যদিকে সিন্ধু সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের কাজ চলছে।’
* ‘স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে ৭৫ বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ট্রেন দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছবে।’
* ‘ছোট কৃষকরাই দেশের গর্ব। তাঁদের স্বার্থেই নয়া কৃষি আইন হয়েছে। আগামী বছরগুলোতে আমাদের দেশের ক্ষুদ্র কৃষকদের যৌথ শক্তি বাড়াতে হবে। বর্তমানে কৃষকরা কিষাণ সম্মাননিধি পাচ্ছেন।তাঁদের নতুন সুবিধা দিতে হবে।’
* ‘১০০ লক্ষ কোটি টাকার গতি শক্তি প্রকল্প যুব সমাজের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করবে।’
* ‘ভারত বর্তমানে ৩০০ কোটি ডলারের মোবাইল রফতানি করছে। দেশীয় পণ্য গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। স্টার্ট-আপের পাশে দাঁড়ানো থেকে কর ছাড়- সবরকমভাবে উৎসাহ দেবে সরকার।’
* ‘শক্তিক্ষেত্রেও ভারতে আত্মনির্ভর করে তুলেতে হবে। এটা আমাদের অঙ্গীকার।’
* ‘বড় বদলে দেশের রাজনৈতিক ইচ্ছার অভাব নেই। ৭৫ বছরের সমস্যা কয়েক দিনে মিটবে না। কিন্তু সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আমলা ব্যবস্থায় বদল ঘটানো হয়েছে। ১৫ হাজারের বেশি নিয়ম-নীতির বাঁধান আগলা করা হয়েছে। সরকার নাগরিক জীবনে দখলদারি করবে না।’
* সামুদ্রিক সম্পকদে নিয়ে দেশের বিকাশে নয়া সংযুক্তি হতে পারে। সেই জায়গা থেকে দেশ চেষ্টার রাস্তা ছাড়বে না বলে জানান মোদী।
* করোনার ফলে দেশে প্রযুক্তি ও আমাদের বৈজ্ঞানিকদের শক্তিকে দেশ দেখেছে। কৃষিক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিকদের আবিষ্কার যাতে আরও সমৃদ্ধ করে, তার দিকে সচেষ্ট হতে হবে। এরজন্য আমরা বেশি অপেক্ষা করতে পারব না।
* শ্রী অরবিন্দর প্রসঙ্গ তুলে মোদী বলেন, আগে যা হয়নি , তা এখন করতে হবে। কর্তব্য সর্বোপরি রেখে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দেন মোদী।
* গ্রিন এনার্জি উৎপাদনে ন্যাশনাল হাইড্রজেন মিশনের ঘোষণা মোদীর।
* দেশের আগামী প্রজন্মের ভূয়সী প্রশংসা করে মোদী বলেন এই দেশের নয়া প্রজন্ম 'ক্যান ডু' প্রজন্ম।
* ২৫ বছর পর দেশের যিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন, তিনি যখন পতাকা উত্তোলন করবেন, তখন ভাষণের সময় এই সংকল্পগুলিকেই বর্ণনা করবেন , যে প্রকল্পের কথা আজ আমরা সংকল্প করছি, বললেন মোদী।
* ‘সরকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আছে। কয়েকশো স্টার্ট আপ তৈরি হয়েছে দেশে। সেই স্টার্ট আপের প্রোডাক্ট বিদেশে পাঠাতে সাহায্য করছে সরকার। এই স্টার্ট আপের জন্য নিয়ম শিথিল থেকে আর্থিক সাহায্য, সব পদক্ষেপই নিচ্ছে সরকার। করোনাকালের এই কঠিন সময়েও হাজার হাজার স্টার্ট আপ তৈরি হয়েছে।‘
* ‘তেরঙ্গাকে সামনে রেখে ন্যাশনাল হাইড্রোজেন মিশনের ঘোষণা করলাম।’
* ‘দেশের সব মেয়েরা এবার থেকে সৈনিক স্কুলে পড়তে পারবে।’
* ‘একুশ শতকে ভারতকে স্বপ্নপূরণ থেকে কেউ রুখতে পারবে না।’

Find Out More:

Related Articles: