৬ মাস পর নিউ জিল্যান্ডে সামনে এল করোনা পজেটিভ কেস। আর এতেই তড়িঘড়ি দেশজুড়ে ঘোষণা করা হল লকডাউন। করোনা ভাইরাস নিয়ে ঠিক এতটাই সতর্ক কিউইরা। কোনওভাবেই যাতে দেশে কোভিড ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য কোনও ঝুঁকি না নিয়েই নিউ জিল্যান্ডে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে নিউ জিল্যান্ডের অকল্যান্ডে এক ব্যক্তির করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তিনি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। অকল্যান্ডে এই কারণে আগামী সাত দিন, ও গোটা দেশে আগামী তিন দিন লকডাউন থাকবে। এমনই ঘোষণা করেছেন নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। নিউ জিল্যান্ডে মাত্র ২০ শতাংশ মানুষকে করোনা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ দেওয়া হয়েছে। ৩৩ শতাংশ নাগরিক ভ্যাকসিনের একটা ডোজ নিয়েছেন।। আর তাই কোনও কোনও ঝুঁকি না নিয়ে লকডাউনের চারটি নিয়মই লাগু করা হয়েছে। এই চারটি নিয়মের কারণে স্কুল-কলেজ-অফিস সহ ব্যবসা-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিনোদনী কেন্দ্র সব বন্ধ করা দেওয়া হয়েছে। রাতারাতি বন্ধ গণপরিবহনও। ৫৮ বছরের যে ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি সম্প্রতি যে ২৩জনের সংস্পর্শে এসেছেন, তাদের প্রত্যেকেই সরকারী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনার প্রথম ঢেউয়ে নিউ জিল্যান্ডই প্রথম দেশ ছিল যারা সবার আগে সুস্থ হয়ে ওঠে। ভ্যাকিসনের আগেই নিজেদের সতর্কতা, টেস্টিং, ট্রেসিংয়ে ভর করেই নিউ জিল্যান্ড সবার আগে মাস্কের দুনিয়া থেকে বেরিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছিল। অথচ নিউ জিল্যান্ডের পড়শি দেশ অস্ট্রেলিয়া প্রথম-দ্বিতীয়, দুটো ঢেউয়ে বেসামাল হয়ে পড়ে।