সাত বছর পর রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদে এল বদল। ২০১৫ থেকে টানা সাত বছর রাজ্য সভাপতি হিসেবে কাজ করার পর সরতে হল দিলীপ ঘোষকে। বাংলায় দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বেই বিজেপির উত্থান। রাহুল সিনহাকে সরিয়ে যখন দিলীপ ঘোষকে আনা হয় তখন বাংলায় বিজেপির মাত্র দু জন সাংসদ, শূন্য বিধায়ক। সেখান থেকে রাজ্যে আজ বিজেপি ১৯ সাংসদের দল। বিধানসভা ভোটেও ৭৭টি আসন, ২ কোটি ভোট জুটেছে। তবে সময়ের নিয়মেই সরতে হল দিলীপকে।
বিধানসভা ভোটে দলের হার, দলের একের পর নেতা-কর্মী-বিধায়ক-সাংসদের দল ছাড়ার কোপটা দিলীপের ঘাড়েই পড়ল। যদিও এটা ঠিক রাজ্য সভাপতি হিসেবে তাঁর সময়কালও শেষ হয়ে আসছিল। দিলীপ ঘোষের জায়গায় রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদে আনা হল ড. সুকান্ত মজুমদারকে। অন্যদিকে দিলীপ ঘোষকে নিয়ে যাওয়া হল জাতীয় সহ সভাপতির পদে।
আসুন দেখে নেওয়া যাক বাংলায় বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি কারা ছিলেন--
অধ্যাপক হরিপদ ভারতী (১৯৮০-৮২):
ডক্টর বিষ্ণুকান্তি শাস্ত্রী (১৯৮২-১৯৮৬):
সুকুমার ব্যানার্জি (১৯৮৬-৯১):
তপন সিকদার (১৯৯১-১৯৯৫):
অসীম ঘোষ (১৯৯৯-২০০২):
তথাগত রায় (২০০২-২০০৬):
সুকুমার ব্যানার্জি (২০০৬-২০০৮):
সত্যব্রত মুখার্জি (২০০৮-২০০৯):
রাহুল সিনহা (২০০৯-২০১৫):
দিলীপ ঘোষ (২০১৫-২০২১):
সুকান্ত মজুমদার (২০২১):বর্তমান
প্রসঙ্গত, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে আজ এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, দিলীপ ঘোষের জায়গায় রাজ্য বিজেপির সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হল বালুরঘাটের সাংসদ ড. সুকান্ত মজুমদারকে। আগামিকাল থেকেই সভাপতির দায়িত্ব নেবেন সুকান্ত মজুমদার। দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদার তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে দলকে শক্তিশালী করবেন, টুইটে করে জানালেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য বিজেপি সভাপতির বদলকে সময়োচিত সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করলেন তথাগত রায়।