একই সঙ্গে হওয়ার কথা ছিল রাজ্যের সাত বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচন ও উপনির্বাচন। কিন্তু করোনার ভয়ে তা হয়নি। যেহেতু মুখ্যমন্ত্রীর ভোটে জেতার বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, আর মুশির্দাবাদে দুটি কেন্দ্র সাধারণ নির্বাচন হওয়া বাকি ছিল তাই সেখানে ৩০ সেপ্টেম্বর ভোট হচ্ছে। তবে এবার রাজ্যের চারটি কেন্দ্রে উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষ হল। আগামী ৩০ অক্টোবর উপনির্বাচন হবে- উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা, কোচবিহারের দিনহাটা, এবং নদিয়ার শান্তিপুরে বিধানসভা উপনির্বাচন হবে বলে জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। আগামী ২ নভেম্বর ওই চার কেন্দ্রের ভোট গণনা হবে। তার মানে ভবানীপুর উপনির্বাচনের ঠিক এক মাস পরেই হচ্ছে রাজ্যের বাকি চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন।
তবে ভোট হলেও, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের কথা মাথায় নির্বাচনের প্রচারের ক্ষেত্রেও কিছু নির্দেশিকা দিয়েছে কমিশন। বদ্ধ জায়গায় সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ বা ২০০ জনকে নিয়ে প্রচারসভা করা যাবে। খোলা জায়গার ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৫০০ জনকে নিয়ে প্রচার করা যাবে। তবে তারকা প্রচারক হলে সংখ্যাটা সর্বোচ্চ ১০০০ জন হতে পারে। রাস্তায় সর্বোচ্চ ৫০ জনকে নিয়ে প্রচার করা যাবে। মঙ্গলবারই দেশের আরও বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের উপনির্বাচন নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্র। তার মধ্যে দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল – দাদরা-নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে একই দিনে উপনির্বাচন হবে মধ্যপ্রদেশ ও হিমাচল প্রদেশের কেন্দ্রগুলিতেও।