একটি বিবৃতি প্রকাশ করে কয়লা মন্ত্রক জানিয়েছে, "এই ৮৮ টি খনি থেকে প্রায় ৫৫ বিলিয়ন টন কয়লার মোট ভূতাত্ত্বিক সম্পদ পাওয়া যাচ্ছে, যার মধ্যে ৫৭ টি খনি সম্পূর্ণভাবে খনন করা হয়েছে এবং ৩১ টি আংশিকভাবে খনন করা হয়েছে। এখানে চারটি কোকিং কয়লা খনি রয়েছে।" কেন্দ্রীয় কয়লা, খনি ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী (Pralhad Joshi) একটি অনুষ্ঠানে বলেন, কয়লা মন্ত্রক এবং ভারত সরকার কয়লা ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য একটানা কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, “উন্নত দেশগুলির তুলনায় ভারত বর্তমানে মাথাপিছু বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবার নিচে রয়েছে এবং দেশের দূরতম গ্রামাঞ্চলেও সংযোগের ক্ষেত্রে সরকারের গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কারণে ২০৪০ সালের মধ্যে দেশের বিদ্যুতের চাহিদা দ্বিগুণ হওয়ার আশা করা হচ্ছে। কয়লা আগামী ৩৫-৪০ বছর দেশের জ্বালানির ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করবে"।
একই সঙ্গে, কয়লার উপর থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ভার চাপানোর দিকেও নজর রেখেছে কেন্দ্র। যে সব উৎপাদন কেন্দ্রে গ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় সেখান থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করার চিন্তাও করা হচ্ছে। পাশাপাশি, যে রাজ্যগুলিতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে সেখান থেকে ঘাটতির মুখে পড়া কোনও রাজ্যে তা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, যে রাজ্যগুলিতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে সেখান থেকে ঘাটতির মুখে পড়া কোনও রাজ্যে তা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সুযোগে যদি কেউ ‘বিদ্যুৎ বিক্রির’ চেষ্টা চালায় তাতে কড়া শাস্তির নিদানও রয়েছে নির্দেশিকায়।