প্রথমবার কলকাতার ঘাটে বিসর্জনে বিশেষ ব্যবস্থা কর্পোরেশনের

A G Bengali
এবার মা -এর কৈলাশে ফিরে যাওয়ার পালা। আবারও একটা বছরের অপেক্ষা। চোখের জলে মা কে বিদায় জানাবার পালা। কিন্তু বিসর্জন নিয়ে এই প্রথম নতুন ব্যবস্থা করেছে কেএমসি। 
কলকাতা কর্পোরেশনের তরফে এবারই প্রথম দই ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জনের বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই বিকল্প ব্যবস্থায়, দুর্গা মূর্তি জলে না ভাসিয়েই নিরঞ্জন করা যাবে। সেক্ষেত্রে গঙ্গা থেকে জল তুলে, হোস পাইপের সাহায্যে সেই জল মূর্তির গায়ে ঢালা হবে। প্রতিমা গলা জল একটি রিজার্ভারে জমা করা হবে। এরপর ক্যানেলের মাধ্যেমে সেই জল ড্রেনে ফেলা হবে। গোটা প্রক্রিয়াটি এবার পরীক্ষামূলক ভাবে দই ঘাটে চালু করতে চলেছে কলকাতা কর্পোরেশন। গোটা প্রক্রিয়াটি ঘুরে দেখেন কর্পোরেশনের প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, "মানুষের সহযোগিতা পেলে পরবর্তীকালে কলকাতার অন্যান্য ঘাটগুলোতেও এই পদ্ধতিতে প্রতিমা নিরঞ্জন শুরু হবে।" এছাড়াও বাজা কদমতলা ঘাট, দই ঘাট, জাজেস ঘাট ও নিমতলা ঘাটে পর্যাপ্ত পুলিস মোতায়েন করা হচ্ছে। থাকবেন কর্পোরেশনের কর্মীরাও।

অন্যদিকে, গত সপ্তাহে বেলগাছিয়া বস্তি থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল বছর আড়াইয়ের এক শিশু। তার নাম মহম্মদ ওমর। এ নিয়ে উল্টোডাঙা থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও দায়ের করেন ওমরের বাবা। গত সোমবার অর্থাৎ ষষ্ঠীর দিন বিকেলে হাওড়ার উলুবেড়িয়া কালীবাড়ি চত্বরে এক শিশুকে উদ্ধার করে স্থানীয় থানার মহিলা পুলিশের হাতে তুলে দেন বাসিন্দারা। পুলিশের পক্ষ থেকে ওই এলাকায় মাইকে প্রচারও চালানো হয়। তবে বাচ্চাটির বাবা-মায়ের খোঁজ মেলেনি। এর পরেই ওমর নামের এক শিশুর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার তথ্য জানতে পেরে উল্টোডাঙা থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ। বুধবার শিশুটিকে সরকারি হোম থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় উল্টোডাঙা থানার পুলিশের কাছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে উল্টোডাঙার এক পুলিশ অধিকারিকের মৃত্যুর ঘটনাও। ওই শিশুর নিখোঁজ-কাণ্ডের তদন্তভার ছিল উল্টোডাঙা থানার সা ইনস্পেকটর শেখ আফতাব আহমেদে কাঁধে। তদন্তে নেমে তিনি মহম্মদ আমিন নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করেন। কিন্তু এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে একটি মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনাও। নিখোঁজ রহস্যের সমাধান করতে গিয়ে উত্তেজনাবশত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন উল্টোডাঙা থানার সাব ইনস্পেক্টর শেখ আফতাব আহমেদ।

Find Out More:

Related Articles: