পুজোর পাঁচদিন অর্থাৎ ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত প্রায় ১০০ কোটি টাকার মদ বিকিয়েছে বাংলায়। পুজোর আগেই পানশানা ও মদের দোকান অতিরিক্ত সময় খোলা রাখার কথা নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছিল নবান্ন। অন্য়বার দশমীতে বন্ধ থাকে দোকান। ষষ্ঠী থেকে দশমী- টানা ৫ দিনই খোলা ছিল। এই পাঁচদিনই মদ বিক্রি ছাপিয়ে গিয়েছে আগের সব রের্কড। গতবছর বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৪৫ কোটি টাকার মদ। আবগারি দফতর সূত্রের খবর, এ বছর ৫ দিনে বিকিয়েছে প্রায় ১০০ কোটির মদ। এর মধ্যে একাই কাঁপিয়ে দিয়েছে নবমী। দশমীতে বিসর্জনের আগে অনেকে মদ তুলে রাখেন। শেষ দিনে একটু বেশিই সুরা পানের সখও থাকে। তার ফল, নবমীতে প্রায় ২৯ কোটি টাকার বিক্রি হয়েছে। মদ বিক্রিতে এগিয়ে দুই মেদিনীপুর। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রায় ২৮ কোটি টাকার মদ বিকিয়েছে। সুরা থেকে সরকারের বিপুল আয় হয়। পুজোয় সেই ভাঁড়ার ভরালেন রাজ্যের সুরাপ্রেমীরা।
অন্যদিকে, করোনার আবহে গত বছর পুজোর বাজার তেমন জমেনি। চলতি বছর আশায় বুক বেঁধেছেন দোকানিরা। তবে নিম্নচাপের বৃষ্টি তাতেও জল ঢেলে দিয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের বাজারে গত বছরের তুলনায় এ বার লক্ষ্মীপ্রতিমার দাম বেশ বেড়েছে। ছোট মূর্তিই ১০০ টাকার আশপাশে। বড় আকারের সাজের প্রতিমার দাম ৬০০-৮০০। খড়ের মূর্তির দর আরও বেশি। তবে ফলের দর তেমন বাড়েনি বলে দোকানিদের দাবি। তাতেও স্বস্তি নেই ক্রেতাদের। আপেল বা নাসপাতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা প্রতি ডজন। শাঁকালু প্রতি কেজি ১০০ টাকা। শশা এবং খেজুর কেজি প্রতি যথাক্রমে ৫০-৬০ ও ১২০ টাকা।