তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাতেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerejee) তৃণমূলে (TMC) প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা। বহু দিন ধরে তৃণমূলের সঙ্গে থাকার পর, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে নাম লিখিয়েছিলেন বিজেপি শিবিরে।মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে আসার পর দলবদলের সম্ভবনায় যাঁর নাম সবথেকে বেশি চর্চায় সে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা ভোটের আগে নাম লিখিয়েছিলেন BJP-তে। ভোটেও দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু নিজের পুরনো কেন্দ্র ডোমজুড় থেকেই পুরনো দলের কাছে হেরে যান তিনি। তারপর থেকেই ফের তৃণমূলে ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন বলে গুঞ্জন। কিন্তু আপত্তি উঠছিল দলের অন্দরেই। সূত্রের খবর, তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের থেকে ইতিবাচক ইঙ্গিত পেয়েই শনিবার ত্রিপুরা এসেছেন রাজীব।
ভোটের পরে বহু ছোটবড় নেতাই ঘরে ফিরেছেন, কিন্তু ভোটে হারলেও রাজীবের জনপ্রিয়তা আজও প্রশ্নাতীত। তাঁর ঘরওয়াপাসি তৃণমূলে অত্য়ন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কিন্তু রাজ্যে যিনি এত জনপ্রিয় তাঁকে ত্রিপুরায় যোগ দেওয়ানোর পরিকল্পনা কেন! সূত্রের খবর, দলের অন্দরেই রাজীব বিরোধী হাওয়া এখনও রয়েছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা সামনে এনেই দল ছেড়েছিলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গে তাঁকে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কাজ করালেও সরব হতে পারে। সেই কারণেই বুঝেশুনে সিদ্ধান্ত। এখানেই শেষ নয়। ব্য়খ্যা আরও রয়েছে। চার্টার্ড ফ্লাইটে উড়িয়ে বিজেপি রাজীবকে দলে টেনেছিল। তৃণমূল ছিল তখন দ্রষ্টার ভূমিকায়। গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়েছে তারপর। হ্যাট্রিক করেছেন তৃণমূল নেত্রী। সামান্য জয় নয়, সর্বকালের রেকর্ড স্থাপন করে ক্ষমতায় এসেছেন মমতা। এখন এই সুদিনে বিজেপি শাসিত রাজ্যে রাজীবকে দলে নিয়ে টিট ফর ট্যাট-রাজনীতি করতে চাইছে তৃণমূল।