শুক্রবার অর্থাৎ আজ সকাল ৭টা নাগাদ দেরাদুন বিমানবন্দরে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান উত্তরখণ্ডের রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রী। তারপর ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টারে কেদারনাথ যাত্রা করেন নরেন্দ্র মোদী। এবার নিয়ে পঞ্চম বার রুদ্রাভিষেকে অংস নিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে আদি শঙ্করাচার্যের মূর্তিও উদ্বোধন করলেন প্রঝানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেদারনাথে পৌঁছে প্রথমে মন্দিরের বিভিন্ন সংস্কারমূলক কাজের পর্যালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে সংস্কারের ভিডিয়ো দেখানো হয়। তারপর মন্দিরে প্রবেশ করেন। বিশেষ রুদ্রাভিষেক পুজো করেন মোদী। তারপর আদি গুরু শঙ্করাচার্যের মূর্তির উন্মোচন করেন।
রুদ্রাভিষেক এবং মূর্তি উন্মোচনের পাশাপাশি শুক্রবার ৪০০ কোটি টাকার কেদারনাথ ধাম পুনর্গঠন কর্মসূচির অগ্রগতির পর্যালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। নতুন প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন। নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘‘২০১৩ সালের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কেদারনাথ তীর্থক্ষেত্র পুনর্গঠনের কথা বার বারই আমার অন্তর বলেছে।’’ প্রধানমন্ত্রী জানান, শীঘ্রই ‘রোপওয়ে’ যোগাযোগ চালু হবে উত্তরাখণ্ডের শিখ তীর্থক্ষেত্র হেমকুন্ড সাহিবে।
উল্লেখ্য, বিদেশ সফর থেকে দেশে ফেরার পর বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীরের নৌসেরায় যান মোদী। সেখানে ভারতীয় সেনার জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করেন। সেখানে জওয়ানদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আমি প্রতিটি দীপাবলি সীমান্ত পাহারা দেওয়া সৈন্যদের সাথে কাটিয়েছি। আজ আমি আমার সঙ্গে খানে আমাদের জওয়ানদের জন্য কোটি কোটি ভারতবাসীর আশীর্বাদ নিয়ে এসেছি। আমাদের জওয়ানরা মা ভারতীর সুরক্ষাকবচ। আপনাদের কারণেই আমাদের দেশের মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারেন এবং উৎসবে আনন্দ থাকে। জঙ্গিদের যোগ্য জবাব দিয়েছেন জওয়ানরা। জওয়ানদের জন্য সমগ্র দেশবাসী দীপ জ্বালাবেন। সার্জিকাল স্ট্রাইকের সময় এই ব্রিগেড যে ভূমিকা পালন করেছিল, তা প্রত্যেক ভারতীয়কে গর্বিত করে।'