ত্রিপুরায় পুরো ভোটে গেরুয়া ঝড় অব্যাহত। আগরতলা পুরসভা, ৬ নগর পঞ্চায়েত, ৭টি পৌর পরিষদ মিলিয়ে মোট ৩৩৪টি আসনে এই নির্বাচন হয়েছে। এরমধ্যে ১১২টি আসনে অন্য কোনও দল প্রার্থী না দেওয়ায়, সেই আসনগুলিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছে বিজেপি। হাইভোল্টেজ এই নির্বাচনে বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণ কেন্দ্র করেই ছড়িয়েছিল উত্তেজনা। আজ সকাল থেকেই শুরু হয়েছে ভোট গণনা। নির্বাচন কেন্দ্র করে যাতে রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টি না হয়, তার জন্য ত্রি-স্তরীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আর ত্রিপুরায় ফলাফলের পর ত্রিপুরার দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়াতে টুইটারে অভিষেকের বার্তা, ‘অত্যন্ত সামান্য উপস্থিতি থেকে একটি দলের পক্ষে পুরভোটে সফল ভাবে নির্বাচনে লড়া এবং ২০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে প্রধান বিরোধীর ভূমিকায় উঠে আসা সত্যিই অভূতপূর্ব ব্যাপার।’ টুইটে কুণাল ঘোষ লিখেছেন, ‘ত্রিপুরায় তৃণমূলের দু’মাসের সংগঠনকে ঠেকাতে এত হামলা, মামলা এবং তাণ্ডব চালানো হয়েছে। তার পরেও বহু ওয়ার্ডে দ্বিতীয় হয়েছে তৃণমূল। আমবাসা ওয়ার্ডে জিতেছে দল। দলের লড়াই আর মানুষের সমর্থনকে ধন্যবাদ।’
বৃহস্পতিবারের পুরভোটে হামলা, মারধর, ভোটদানে বাধা দেওয়ার বিস্তর অভিযোগ করেন বিরোধীরা। তৃণমূল ও বামেদের অভিযোগ তাঁদের প্রার্থীদের নিগ্রহ করা হয়েছে। সমস্ত অভিযোগের তির বিজেপির বিরুদ্ধে। যদিও সব অভিযোগ খারিজ করেছে ত্রিপুরার শাসকদল। ফলাফল ঘোষণার পর যাতে কোনও হিংসা না হয়, সেজন্য কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে আগাম বার্তা দিয়েছে বিপ্লব দেব (Biplab Deb) সরকার।