তৃণমূলের দোলা, শান্তা-সহ রাজ্যসভার ১২ সাংসদ সাসপেন্ড

A G Bengali
রাজ্যসভার ইতিহাসে প্রায় নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত। সংসদের তরফে জানানো হয়েছে বাদল অধিবেশনে বিশৃঙ্খল আচরণের জন্য ১২ সাংসদকে শীত অধিবেশনের বাকী অংশ থেকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হল। ওই সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের দোলা সেন ও শান্তা ছেত্রী। এছাড়াও রয়েছেন কংগ্রেসে ৬, শিবসেনার ২, একজন সিপিআই ও একজন সিপিএম সাংসদ।  শিবসেনার প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী ও অনিল দেসাই, সিপিএমের এলামারাম করিম, কংগ্রেসের ফুলোদেবী নেতাম, ছায়া বর্মা, আর বোরা, রাজামণি পটেল, সৈয়দ নাসির হুসেন, অখিলেশ প্রসাদ সিংহ। এর পরই সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘‘কারও সঙ্গে কথা না বলে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কোনও নিয়ম মানা হয়নি। কাউকে কথা বলা সুযোগই দেওয়া হয়নি। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হয়। সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দলের সাংসদদের সাসপেন্ড করা হয়েছে।’’

উল্লেখ্য, বাদল অধিবেশনে পেগাসাস, কৃষি বিল সহ একাধিক ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিরোধী সাংসদরা। অধিবশনের শেষ দিন অর্থাত্ ১১ অগাস্ট তোলপাড় হয় রাজ্যসভা। সরকারের অভিযোগ, সেই সময় সংসদের কয়েকজন নিরাপত্তা কর্মীকে নিগ্রহ করা হয়। ভেঙে ফেলা হয় সংসদের কাচের দরজা। অনেকে টেবিলের উপরে উঠে পড়েন, কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলেন। গোটা ঘটনা সংসদের গরিমা নষ্ট করেছে বলে মনে করছে সরকার। তার জেরেই এই শাস্তি। জুলাই মাসে বাদল অধিবেশনের শুরুতে মূলত পেগাসাস ইস্যুতেই উত্তাল ছিল সংসদ। এর জেরে রাজ্যসভায় তৃণমূলের শান্তনু সেন সহ একাধিক সাংসদকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। সেই সময় সাসপেন্ডের কোপে পড়েন দোলা সেন, শান্তা ছেত্রী ও অর্পিতা ঘোষ। তবে রাজ্যসভার তরপে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে ১১ অগাস্ট রাজ্যসভায় যা ঘটেছে তা বেনজির দুর্বব্যবহার।

Find Out More:

Related Articles: