পুলিশ জানায়, দুই রাজমিস্ত্রির সঙ্গে মুম্বই পালিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু হাতে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় সেখানে গিয়ে অর্থকষ্টের মধ্যে পড়েন। পুলিশের কাছে খবর ছিল মুম্বই থেকে এ রাজ্যে ফিরছেন তাঁরা। সেই মতো পুলিশ অপেক্ষা করছিল আসানসোল স্টেশনে। বুধবার ভোরে দুই বধূ এবং তাঁদের প্রেমিকরা নামতেই তাঁদের আটক করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে তাঁদের ফিরিয়ে এনেছেন নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ।
১৫ ডিসেম্বর বেলা ১২টা নাগাদ শীতের পোশাক কেনাকাটা করতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বালির নিশ্চিন্দার বাসিন্দা অনন্যা কর্মকার, তাঁর জা রিয়া কর্মকার এবং রিয়ার সাত বছরের ছেলে আয়ুশ কর্মকার। এর পর থেকেই আর খোঁজ পাওয়া যায়নি তাঁদের। কর্মকার পরিবার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করে। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। সোমবার নিখোঁজ দুই গৃহবধূর অবস্থানের ব্যাপারে জানতে পারে পুলিশ। জানা যায়, সাত বছরের আয়ুশকে নিয়ে দুই রাজমিস্ত্রির সঙ্গে পালিয়েছেন অনন্যা এবং রিয়া। পুলিশ জানায়, মুর্শিদাবাদের সুতি এলাকা থেকে কর্মকার পরিবারে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে এসেছিলেন সুভাষ এবং শেখর। সে সময়ই তাঁদের দু’জনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই দুই বধূর। মোবাইল ফোন না থাকায় রাজমিস্ত্রি সুভাষ তাঁদের ফোনও কিনে দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেই ফোনেই চলত তাঁদের প্রেমালাপ। পুলিশ জানায়, মুর্শিদাবাদের সুতি এলাকা থেকে কর্মকার পরিবারে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে এসেছিলেন সুভাষ এবং শেখর। সে সময়ই তাঁদের দু’জনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই দুই বধূর। মোবাইল ফোন না থাকায় রাজমিস্ত্রি সুভাষ তাঁদের ফোনও কিনে দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেই ফোনেই চলত তাঁদের প্রেমালাপ।