হাওড়া থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে বালি পুরসভাকে৷ প্রায় এক মাস আগে বিলটি রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হলেও সরকারের কাছে বেশ কিছু ব্যাখ্যা চেয়ে বিলটিতে সই করেননি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷ মমতাকে ট্যাগ করে টুইট করে ধনখড় বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট যে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল শ্রী জগদীপ ধনখড় হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (সংশোধনী) বিল, ২০২১-এ অনুমোদন দিয়েছেন। কিন্তু তা ঠিক নয়। সংবিধানের ২০০ ধারার অধীনে বিবেচনাধীন রয়েছে। কারণ এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কিছু তথ্য প্রত্যাশিত।’ এ বিষয়ে বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্ট খারিজ করে টুইটারে নিজেই শনিবার জানিয়েছেন সে কথা। সম্প্রতি, হাওড়া পুরসভা থেকে বালির ১৬টি ওয়ার্ডকে আলাদা করে নতুন পুরসভা করা হয়েছে। এই নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় একটি সংশোধনী বিল পাস হয়েছে। এই টানাপড়েনের মধ্যেই রাজ্য সরকারের আর্জি মেনে ১৯ ডিসেম্বর কলকাতার সঙ্গে হাওড়া পুরভোটের প্রস্তুতি শুরু করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টে পুরভোট সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে হাওড়া ও বালি পুরসভায় ভোট নিয়ে অনিশ্চয়তার বিষয়টি ওঠে। এর পর বৃহস্পতিবার রাতেই রাজ্যপাল ওই বিলে সই করেন বলে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চকে জানান রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। কিন্তু রাজ্যের সেই দাবি সরাসরি খারিজ করেছেন রাজ্যপাল। প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকেলেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজভবনে ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে দাবি করেছিলেন, রাজ্যপাল তাঁকে বলেছেন, ওই বিলে তিনি সই করেননি।