দেশে বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। শনিবার, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের করোনা পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে গত ২৪ ঘন্টায় মোট এক লক্ষ ৪১ হাজার ৯৮৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিন কোটি ৫৩ লক্ষ ৬৮ হাজার ৩৭২। দৈনিক সংক্রমণের হার ৯.২৮ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯৭.৫ শতাংশ। দেশে বর্তমানে সক্রিয় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা চার লক্ষ ৭২ হাজার ১৬৯। সব থেকে বেশি আক্রান্ত পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘন্টায় মোট ৪০ হাজার ৯২৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজার ২৩১ জন। পশ্চিমবঙ্গের পরে আক্রান্ত হওয়ার নিরিখে রয়েছে যথাক্রমে দিল্লি (১৭ হাজার ৩৩৫), তামিলনাড়ু (আট হাজার ৯৮১) এবং কর্নাটক (আট হাজার ৪৪৯)।
অন্যদিকে, এর আগে রাজ্যে করোনার আগমনে যখন প্রথমবার লকডাউন জারি করা হয়েছিল, সেই সময়ও দীর্ঘদিন বন্ধ থেকেছিল স্পা, বিউটি পার্লার, সেলুন। এরপর করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমলে ধাপে ধাপে খুলেছিল সেগুলি। কোভিডবিধি মেনে গ্রাহকরা সেলুন বা স্পাতে যেতে পেরেছিলেন। তবে ফের রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হতেই ফের তালা লাগে স্পা, সেলুনের দরজায়। এদিকে এর আগে ২ জানুয়ারি ঘোষণা করা হয়েছিল যে করোনা বাড়বাড়ন্তের জেরে লোকাল ট্রেন সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত চলবে। তবে জনরোষের মুখে একদিনের মাথায় সেই সিদ্ধান্ত বদল করে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছিল যে রাত দশটা পর্যন্ত ট্রেন চলবে। এবার ফের একবার পুরোনো নির্দেশিকা বদল করে পার্লার, সেলুনের দরজা খুলে দেওয়ার ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। যদিও ক্রমেই রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি বলেছিলেন যে সংক্রমণ বাড়তে থাকলে আরও কড়া পদক্ষেপ করতে হবে সরকারকে। এরই মাঝে বিধিনিষেধ শিথিলের পথে হাঁটল রাজ্য