এখন সারা বিশ্ব জুড়ে একটাই চিন্তা করোনা। আর তাই এখন মাতা ব্যাথার অন্যতম মূল কারণ। গত সোমবার, আমেরিকায় ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ১০ লক্ষের বেশি করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। গত সোমবার অর্থাৎ, ৩ জানুয়ারি আমেরিকায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষের সামান্য বেশি। পরিসংখ্যান বলছে, বাইডেনের দেশে গত সাত দিনে লাফিয়ে বেড়েছে সংক্রমণ। শুধু সংক্রমিতের সংখ্যা বৃদ্ধিই নয়, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার নিরিখেও আমেরিকায় নিত্য তৈরি হচ্ছে আর ভাঙছে রেকর্ড। সংবাদ সংস্থার দাবি, এই মুহূর্তে আমেরিকায় ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৫০০ জন করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। গত বছর জানুয়ারিতে হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৫১ জন। সেই রেকর্ড ভাঙল সম্প্রতি।
অন্যদিকে, এ সপ্তাহেই করোনা সংক্রমণ শীর্ষে পৌঁছতে পারে। রাজধানীতে প্রতি ৪ জনের মধ্যে একজন করোনা পজিটিভ হচ্ছেন। এরকম এক পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার কড়া সিদ্ধান্ত নিল দিল্লি সরকার। দিল্লির সব বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি। তবে এদের মধ্যেও কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। বন্ধ ওইসব অফিসের কর্মীদের আপাতত বাড়ি থেকেই কাজ করতে হবে। প্রসঙ্গত, রাজধানীর অধিকাংশ সংস্থা ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করছিল। এবার তা প্রত্যাহার করে মঙ্গলবার নয়া নির্দেশিকা জারি করল ডিডিএমএ। অর্থাত্ বেসরকারি অফিসগুলি একশো শতাংশ ওয়ার্ক ফ্রম হোম(Work From Home) মোডে চলে গেল।