চার পুরসভার ভোটে সব বুথকেই স্পর্শকাতর হিসাবে ধরল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী এই ভোটে কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে না। রাজ্য পুলিশ দিয়েই হবে ভোট। কমিশন তরফে জানা গিয়েছে, চার পুরসভায় ভোটের দিন ন’হাজারের মতো বাহিনী ব্যবহার করবে তারা। তার মধ্যে বুথ পাহারায় মোতায়েন থাকবে সাড়ে আট হাজার বাহিনী। মোট সশস্ত্র বাহিনী থাকছে ৫,৫০০। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি আসানসোল, শিলিগুড়ি, বিধাননগর ও চন্দননগর পুরসভার ভোটগ্রহণ রয়েছে। চারটি পুরসভায় মোট ভোটারের সংখ্যা ১৯ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৬২। এবং মোট বুথের সংখ্যা ২,০৭৮। অর্থাৎ বুথপিছু গড়ে দু’জনের বেশি এবং গড়ে ৩৫২ জন ভোটারের জন্য এক জন করে সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগ করেছে কমিশন।
নিরাপত্তার বণ্টন নিয়ে কমিশন জানিয়েছে, এক থেকে তিনটি বুথের জন্য সর্বোচ্চ তিন জন সশস্ত্র বাহিনী এবং তিন জন লাঠিধারী পুলিশ থাকবে। আর চার থেকে নয়টি বুথের জন্য চার জন সশস্ত্র এবং চার জন লাঠিধারী পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া ভোট কেন্দ্রগুলিতে ইন্সপেক্টর, এসআই এবং এএসআই পর্যায়ের পুলিশ আধিকারিকরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। বুথের পাশাপাশি ভোটগ্রহণের আগে থেকে নজরদারির জন্য থাকছে নাকা চেকিং, রেসপন্স টিম, কুইক রেসপন্স টিম।
অন্যদিকে, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে বাকি ১০৭টি পুরসভার সঙ্গেই ভোট হবে বীরভূমের পাঁচ পুরসভায়। যদিও ইতিমধ্যেই সাঁইথিয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে ঘাসফুল। সিউড়ি, রামপুরহাট, দুবরাজপুর, বোলপুরের ভোট অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। অনুব্রত মণ্ডল আগেই জানিয়েছেন, ভোট নিয়ে আত্মবিশ্বাসী তিনি। অনেক বেশি ভোটে এবার তৃণমূল জিতবে বলেই জানিয়েছেন অনুব্রত।