বিজেপি-র ডাকে আজ রাজ্যে ১২ ঘণ্টার বনধ

A G Bengali
পুরভোটে অশান্ত বাংলা! কোথাও ভুয়ো ভোটার, তো কোথাও আবার ছাপ্পার ভোটের অভিযোগ উঠল। এমনকী, বাদ গেল না এভিএম ভাঙচুর ও গুলিও! শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। তখনও ভোটগ্রহণ চলছে। গতকাল, রবিবার বিজেপির লালবাজার অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে কলকাতা। নির্বাচন কমিশনের সামনে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেসও। আর পুরভোটে অশান্তির প্রতিবাদে আজ  রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টার বনধ ডাক দিয়েছে বিজেপি (BJP)। দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বললেন, 'যতদিন তৃণমূল ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন পশ্চিমবঙ্গে সুষ্টু ও অবাধ নির্বাচন সম্ভব নয়'। বনধের ইস্যুকে সমর্থন করল কংগ্রেসও। তবে শাসক দল রাজ্যকে স্বাভাবিক রাখতে বদ্ধপরিকর।

অন্যদিকে, ভবানীপুর এলাকায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী শান্তিলাল বেদকে খুনের ধোঁয়াশা কাটেনি এখনও। তারই মধ্যে রবিবার বিকেলে খুন হলেন আর এক স্বর্ণ কারবারি। এ বারের ঘটনাস্থল উত্তর কলকাতার পোস্তা এলাকার শিবতলা স্ট্রিট। পুলিশ জানায়, ৩১ নম্বর শিবতলা স্ট্রিটে নিজের গদিতেই খুন হন দিলীপ গুপ্ত (৬২) নামে ওই ব্যবসায়ী। এ ব্যাপারে বেশ কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলেও রাত পর্যন্ত খুনের কারণ স্পষ্ট নয় বলেই পোস্তা থানা এবং লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে। সম্পর্কে দিলীপবাবুর শ্যালক, জোড়াসাঁকো এলাকার বাসিন্দা রাজেশ গুপ্ত জানান, এ দিন বিকেলে তিনি তাঁর ভাগ্নির ফোন পেয়ে পোস্তার ওই গদিতে ছুটে যান। রাজেশ বলেন, ‘‘আমায় ফোন করে ভাগ্নি হাউহাউ করে কাঁদতে থাকে। বলে, ‘জলদি আও, পাপা কো মার দিয়া...’!’’ তবে আততায়ী কে বা কারা, কেনই বা রবিবার ছুটির দিনে শিবতলা স্ট্রিটের ওই গদিতে মেয়ে-জামাইকে নিয়ে দিলীপবাবু এসেছিলেন, তা রাজেশের মতোই স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছেও।

Find Out More:

Related Articles: