পাঁচ বছরে গঙ্গা-যমুনা-গোমতী-সরযূ নদী দিয়ে জল বয়ে গিয়েছে অনেক। এ বারের বিধানসভা ভোটে পদ্মশিবিরের প্রচারে মোদীর পাশাপাশি সমান ভাবে উঠে এসেছে গত পাঁচ বছরের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নাম। টানা দ্বিতীয় বার লখনউয়ের কুর্সি দখল করতে পারলে ভবিষ্যতে তিনি প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে অমিত শাহের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারেন বলে মনে করছে দলেরই একটি অংশ। বস্তুত, যোগীর ‘আশি-বিশের ভোট’-এর স্লোগান (যা উত্তরপ্রদেশে হিন্দু-মুসলিম জনসংখ্যার অনুপাতের ইঙ্গিতবাহী) আর ‘মাফিয়া’ দমনের কৃতিত্বই এ বার বিজেপি-র প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার। তার সঙ্গেই রয়েছে বিনেপয়সার আনাজ এবং হিজাব বিতর্কে যোগী সরকারের ভূমিকা। যা দেখে অনেকে বলতে শুরু করেছেন, হিন্দু মহিলাদের সঙ্গে মুসলিম মহিলা ভোটের একাংশও নাকি যেতে পারে যোগীর বাক্সে।
অন্যদিকে, বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালের ভাষণের সময় গন্ডগোল করার অভিযোগ বিজেপি বিধায়ক মিহির গোষামী ও সুদীপ মুখোপাধ্যায়কে সাসপেন্ড করেন স্পিকার। এর প্রতিবাদে বুধবার বিধানসভায় ভাষণ রাখেননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এরপরই বলতে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী বক্তৃতা শুরু করলেই বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপি (BJP) বিধায়করা। 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। বিধানসভায় তাঁর ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "বিধানসভায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে বিজেপি (BJP)। ওরা মানুষের কথা শোনে না। ওদের একটাও আসন দেওয়া উচিত নয়। খালি দাঙ্গা করে। সমস্ত অপপ্রচারের জবাব দিয়েছে বাংলার মানুষ। মনে রাখবেন বাংলায় রয়্য়াল বেঙ্গল টাইগার আছে। অব কি বার, বিজেপি পগার পার।"