ভোটের ফল ক্রমশ স্পষ্ট হতেই টুইট করেন রাহুল গান্ধী। তিনি লেখেন, ‘জনগণের রায়কে মেনে নিচ্ছি। জয়ীদের জন্য শুভেচ্ছা রইল। যে সকল কংগ্রেস কর্মী ভোটে নিষ্ঠার সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম করেছেন তাঁদের জন্য আমার কৃতজ্ঞতা রইল। হার থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং দেশের জনগণের স্বার্থে কাজ করে যেতে হবে।’ বিকালে নাগাদ সাংবাদিক বৈঠকে কার্যত একই সুর ছিল রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার গলায়। তিনি বলেন,‘‘জনগণের রায়কে আমাদের মেনে নিতে হবে। তবে এই পরাজয় কেন হল তা নিয়ে পর্যালোচনার প্রয়োজন। তাই খুব শীঘ্রই সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকবেন। সেই বৈঠকে আত্মমন্থন করা হবে।’’
অন্যদিকে, গোরক্ষপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে পাঁচবারের সাংসদ যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। ২০১৭-তে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর উত্তরপ্রদেশের উচ্চকক্ষের সদস্য হন তিনি। এবারই প্রথমবার বিধানসভা ভোটে লড়েন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। গোরক্ষনাথ মঠের 'মহারাজজি'কে গোরক্ষপুর আরবান (Gorakhpur Urban) কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করে গেরুয়া শিবির। তাঁর বিরুদ্ধে প্রচারের কোনও কসুর করেনি সমাজবাদী পার্টি (Samajwadi Party)। মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর গড়েই পরাস্ত করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে গোরক্ষপুর থেকে প্রার্থী হন 'ভীম আর্মি'র প্রধান চন্দ্রশেখরও। কিন্তু ১০ মার্চ ইভিএম খুলতেই দেখা যায় 'যোগী-ম্যাজিক'। গোরক্ষপুর কেন্দ্রে প্রায় ৬৪.৯৬ শতাংশ (১ লক্ষ ১১ হাজার ১৬৪টি) ভোট পান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সমাজবাদী পার্টির শুভাবতী শুক্লা পান ২৫.৮৬ শতাংশ ভোট।