উপনির্বাচনে আসানসোলের পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে থাকছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন অর্জুন সিংহ। এ ছাড়াও ওই কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকছেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জ্যোতির্ময় মাহাতো এবং বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী। অন্য দিকে, বালিগঞ্জ কেন্দ্রে নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার। সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে থাকছেন সঞ্জয় সিংহ। এ ছাড়াও সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অশোক দিন্দাকেও এই কেন্দ্রে নির্বাচনী দায়িত্ব দিয়েছে দল। দুই কেন্দ্রে ইতিমধ্যেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল। আসানসোলে প্রার্থী হয়েছেন শ্ত্রুঘ্ন সিন্হা এবং বালিগঞ্জে প্রার্থী হয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। তৃণমূল প্রার্থী ঘোষণা করলেও বিজেপি এখনও ওই দুই কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি।
অন্যদিকে, পুরুলিয়ার ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তার দাদাকে। পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তপনের ভাইপো দীপক কান্দুকেও। এছাড়াও রয়েছে তপন কান্দুর কিছু আত্মীয়ও। এনিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। তপন কান্দুর দাদা নরেন কান্দুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা অত্যন্তু গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে পুলিস। কারণ পুরসভা নির্বাচনে এই নরেন কান্দুর ছেলে অর্থাত্ ভাইপোর সঙ্গেই তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল। সেই লড়াইয়ে ২ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছিলেন তপন। ভাইপো লড়াই করেছিলেন তৃণমূলের টিকিটে। গতকাল বিকেল তপন কান্দুর খুনের পর পুলিস তদন্তে নেমে একাধিক অ্যাঙ্গেল খুঁজে দেখার চেষ্টা করছে। তার মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত শত্রুতার বিষয়টি। ঝালদা পুরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মধ্য়ে ৫টি ওয়ার্ডে জয়লাভ করেছে কংগ্রেস। ৫টি ওয়ার্ডে জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। দুটি ওয়ার্ডে জয়লাভ করেছে নির্দল। ফলে পুরসভা এখন ত্রিশঙ্কু অবস্থা। ফলে এনিয়ে ঝালদায় রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে রয়েছে। তার মধ্যেই এই খুনে ঘটনা।