‘হনুমানজি চারধাম প্রকল্প’ অনুযায়ী বাংলায় বিশাল হনুমান মূর্তিও বসানো হবে। তৈরি হবে নতুন তীর্থক্ষেত্র। একথা জানালেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হনুমান জয়ন্তীতে শনিবার গুজরাতের মরাবিতে ১০৮ ফুটের হনুমান মূর্তি উন্মোচন করেন মোদী। তিনি জানিয়েছেন, আগামী দিনে তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গে একই রকম মূর্তি বসবে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে শিমলায় তৈরি হয় হনুমান ধাম। শনিবার দ্বিতীয় মূর্তির উন্মোচন হল গুজরাতে। তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে সেই মূর্তি তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এর পরে পশ্চিমবঙ্গ। তবে বাংলার কোথায় সেই হনুমান-তীর্থ গড়ে উঠবে তার উল্লেখ করা হয়নি।
মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অনেক আগে ২০১০ সালে উন্মোচন হয় মূর্তির। দ্বিতীয় মূর্তিটি হল গুজরাতের মরাবিতে বাপু কেশাবনন্দজির আশ্রমের পাশেই। ২০১৮ সাল থেকে তৈরি হওয়া মূর্তিটি বানাতে খরচ হয়েছে ১০ কোটি টাকা। দিল্লি থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে উন্মোচন করেন মোদী। এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘আমি যা জেনেছি তাতে, আগামী দিনে এমন মূর্তি তৈরি হবে রামশ্বরম এবং পশ্চিমবঙ্গে।’’
প্রসঙ্গত, দেশে তৈরি হচ্ছে হনুমানের চারধাম। তিনটি ধামের জায়গা আগেই বাছা হয়ে গিয়েছিল। এ বার চতুর্থটির জন্য বাছা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গকে।
অন্যদিকে, কবিগুর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-সহ বিভিন্ন বাঙালি মণীষীদের ছবি, বাংলার লোকসংস্কৃতির পরিচায়ক জিনিস নিয়ে যাদবপুরে মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রায় আট থেকে আশি দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ঘোরেন। উদযাপন করেন নববর্ষ। পয়লা বৈশাখের সকালে দেখা যায় দক্ষিণেশ্বরে লোকারণ। বছরের প্রথমদিন পূণ্যার্থীদের সমাগমে জনপ্লাবন দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মন্দিরে।