মমতার নেতৃত্বে উন্নয়নের পথে চলেছে বাংলা, এমন মন্তব্য করে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। গত কয়েক মাস ধের রাজ্য-রাজভবন সংঘাতে কার্যত জল ঢেলে দিয়েছেন ধনকড়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীও এদিন সুযোগ বুঝে মোক্ষম মন্তব্য করেন। শিল্প সম্মেলনের ভরা মঞ্চে বিশেষ বার্তা দিলেন রাজ্যপালকে।
মমতা ধনখড়কে বলেন, ‘‘সমস্ত শিল্পপতিদের তরফে রাজ্যপাল আমার একটিই অনুরোধ। এককথায়।’’ হাত জোর করে রাজ্যপালকে মমতা এরপর বলেন, ‘‘ওঁরা (শিল্পপতিরা) মুখ খুলতে পারবেন না। আমরাও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে সব রকম সাহায্য পেতে চাই। কিন্তু রাজ্যপাল যেন কেন্দ্রের কানে এই বিষয়টি পৌঁছে দেন যে শিল্পপতিদের যেন কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থা মারফৎ বিরক্ত করা না হয়।’’
বুধবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রথম দিনে বিশ্ববঙ্গ কনভেনশন সেন্টারে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল ধনখড় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সম্মেলনের প্রারম্ভিক বক্তৃতা করেন ধনখড়ই। তবে তাঁকে তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে পাওয়া যায়নি। রাজ্যের সমালোচনার বদলে বরং মমতার প্রশংসাই করতে শোনা যায় ধনখড়কে। মমতার নেতৃত্বে বাংলার শিল্প এবং উন্নয়নের উন্নতির কথাও বলেন তিনি। তবে শেষে কেন্দ্র –রাজ্য সংঘাতের কথা মনে করিয়ে দিতেও ভোলেননি। সেই সূত্রেই উঠে আসে কেন্দ্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজ্য় সরকারের কাজ করার প্রসঙ্গ। যার জবাব সরাসরি না দিলেও মমতা তাঁর বক্তৃতার শেষে বুঝিয়ে দেন রাজ্যপাল কেন্দ্রের সাহায্যের কথা বললেও কেন্দ্রের হেনস্থার কথা ভোলেননি তিনি।
এর পর দুজনে সৌজন্য বিনিময় করেন। এদিন অনুষ্ঠানের শুরু এবং শেষ ইতিবাচক ভাবেই দুজনের কথা হয়। উল্লেখ্য, ইদানীং দেশের বহু জায়গায় শিল্পপতিদের একাংশকে কখনও সিবিআই, কখনও ইডি বা আয়কর দফতরের নোটিস পাঠানোর খবর সামনে আসে। অভিযোগ ওঠে প্রায়শই, তদন্তের নামে শিল্পসংস্থাকে ভয় দেখাচ্ছে কেন্দ্র। চাপে রাখতে চাইছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে সেই অভিযোগ ফের সামনে চলে এল।