বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে রাজ্যপালের উপাচার্য নিয়োগের ক্ষমতা কেড়ে নিতে বিল পেশ তামিলনাড়ু বিধানসভায়

frame বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে রাজ্যপালের উপাচার্য নিয়োগের ক্ষমতা কেড়ে নিতে বিল পেশ তামিলনাড়ু বিধানসভায়

A G Bengali
বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে রাজ্যপালের উপাচার্য নিয়োগের ক্ষমতা কেড়ে নিতে বিল পেশ তামিলনাড়ু বিধানসভায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাটের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষমতা রাজ্যপালের হাত থেকে কেড়ে নেওয়ার পথে হাঁটল তামিলনাড়ু। সোমবার তামিলনাড়ু বিধানসভায় যে বিল গৃহীত হয়েছে, তাতে তামিলনাড়ু বিশ্ববিদ্যালয় আইনে বদল এনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগের ক্ষমতা রাজ্যপালের হাত থেকে রাজ্যের হাতে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও এই বিতর্ক বহুদিনের। ফলে বাংলাও তামিলনাড়ুর পথে হাঁটবে কি না, জল্পনা তুঙ্গে।


তামিলনাড়ুর ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে রয়েছেন রাজ্যপাল। সেখানের উপাচার্য নিয়োগের দায়িত্বও তাঁর। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের বক্তব্য, 'নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে রাজ্যপালের উপাচার্য নিয়োগ করা উচিত। কিন্তু গত চার বছর ধরে একটা নতুন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। রাজ্যপাল এমন ভাবে কাজ করছেন, যেন উপাচার্য নিয়োগের অধিকার তাঁর একার! এটা গণতান্ত্রিক নীতির বিরোধী।' মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এর ফলে ‘নির্বাচিত রাজ্য সরকার’ এবং ‘মানুষের শাসনকে’ অবহেলা করা হয়েছে। উপাচার্য নিয়োগের বর্তমান পদ্ধতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। কেন্দ্র–রাজ্য সম্পর্কের বিষয়ে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি মদনমোহন পুনছির নেতৃত্বাধীন কমিশনের রিপোর্টের কথা টেনে আনেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০১০ সালের সেই রিপোর্টে রাজ্যপালকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্যের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল। স্ট্যালিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজের রাজ্য গুজরাটে সার্চ কমিটির পেশ করা তিনটি নামের মধ্যে একজনকে উপাচার্য হিসেবে বেছে নেয় রাজ্য সরকার।’



Find Out More:

Related Articles:

Unable to Load More