ফের স্কচ অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছে রাজ্য। ২০২১ সালে Skoch State of Governance Report-এ শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ। সেই সমীক্ষার ভিত্তিতেই এই পুরস্কার। আগামী ১৮ মে দিল্লিতে 'Star of Governance SKOCH' পুরস্কার দেওয়া হবে রাজ্য সরকারকে। রিপোর্টে উল্লেখ, করোনার জন্য় যখন প্রায় দেড় বছর স্কুল-কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল, তখনও রাজ্যের পড়াশোনার মান বেড়েছে। যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামলেছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের আধিকারিক ও কর্মীরা। ‘স্কচ’ পুরস্কার (Skoch Award) প্রাপ্তি তারই স্বীকৃতি। এবারও ফের সেরার তকমা পেল রাজ্যের শিক্ষা দফতর। এমনকী, ব্যবসা বান্ধব পরিবেশের জন্য রাজ্যের ৪ প্রকল্পকেও সম্মানিত করেছিল 'স্কচ'।
অন্যদিকে, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় নন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য করতে চেয়ে আনা প্রস্তাবে সিলমোহর দিল মন্ত্রিসভা। শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য করতে চেয়ে বিধানসভায় বিল আনতে চলেছে সরকার। বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘মন্ত্রিসভায় সর্বসম্মতিক্রমে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পশ্চিমবঙ্গের সরকারি যত বিশ্ববিদ্যালয় আছে তার আচার্য পদে রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করতে চেয়ে বিধানসভায় বিল আনবে সরকার।’ বস্তুত, বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যপাল এবং সরকারের সঙ্ঘাত পশ্চিমবঙ্গে নতুন নয়। শিক্ষাক্ষেত্রেও এই সঙ্ঘাত বারবার চরমে পৌঁছেছে। এমন ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে রাজ্যপাল বৈঠক করতে চাইলেও উপাচার্যরা যাননি। তার পর প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যপাল। এ ছাড়া উপাচার্য নিয়োগ নিয়েও রাজ্যপালের সঙ্গে সঙ্ঘাত বাধার নজির রয়েছে রাজ্যের। এমন আবহে আচার্য হিসাবে রাজ্যপালকে সরানোর ভাবনা-চিন্তা বহু আগেই শুরু হয়েছিল সরকারের অন্দরে। তখনই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, আচার্য হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীকেই ভাবতে চলেছে সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য চেয়ে ২০১০ সালে প্রস্তাব করেছিল একটি কমিশন। সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত।