এবার নরোভাইরাসে (Norovirus) আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেল কেরলে। যা নিয়ে রীতিমতো দুশ্চিন্তা বেড়েছে৷ তিরুভন্তপুরমে এই ভাইরাসের দেখা পাওয়া গেল। এখন প্রশ্ন উঠছে এই ভাইরাস আদৌ কতটা বিপজ্জনক। কী কী উপসর্গ? কারা কারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে, এমনই নানা প্রশ্ন। জানা গিয়েছে নরোভাইরাসে আক্রান্ত হলে বমি, ডায়রিয়া, জ্বরের মতো উপসর্গ থাকে। অত্যন্ত সংক্রামক এই ভাইরাস বিষাক্ত খাবার, জল এবং বদ্ধ জায়গা থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে। স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন ওই দুই আক্রান্ত পড়ুয়ার নমুনা আএও বিস্তারিত বিশ্লেষণের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে স্কুলের মিড ডে মিল খাওয়ার পর থেকেই অসুস্থ বোধ করে তারা।
জানা গিয়েছে, মোট আটজন ছাত্রী খাদ্যে বিষক্রিয়ার অভিযোগ করেছিল। মিড ডে মিলের খাবার খেয়ে পেটে যন্ত্রণা শুরু হয় এই আটজনের। তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় সরকারি ল্যাবে। সেখানেই দুই ছাত্রীর নমুনায় নরোভাইরাস চিহ্নিত হয়। সরকারি আধিকারিকরা সন্দেহ করছেন, মিড ডে মিলের খাবার থেকেই হয়ত এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। মন্ত্রী বলেন, নোরোভাইরাস নিরাময় করা যায়। পাশাপাশই এই ভাইরাসের বিস্তারও রোধ করা যায়।
প্রসঙ্গত, নোরোভাইরাস দূষিত খাবার, জলের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাছাড়া করোনার মতো কোনও পৃষ্ঠ থেকেও এটি সংক্রমিত হতে পারে। এই ভাইরাসের হানায় বমি অথবা ডায়রিয়া, মাথাব্যথা এবং শরীরে ব্যথা হতে পারে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এই রোগ চরম আকার ধারণ করলে খুব বেশি পরিমাণে শরীর থেকে তরল ক্ষয় ঘটতে পারে যার জেরে ডিহাইড্রেশনের হতে পারে। এই আবহে কেরলের স্বাস্থ্য বিভাগ লোকেদের শৌচাগার ব্যবহার করার পরে বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার মতো সতর্কতা অনুসরণ করতে বলেছে। (এই প্রতিবেদনের ছবি -প্রতীকী)