মঙ্গলবার দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ১৩,৬১৫। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৬,৯০৬। রাজ্যভিত্তিক কোভিড পরিস্থিতি লক্ষ করলে দেখা যায়, দৈনিক সংক্রমণের তালিকার শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২,৬৫৯। সংক্রমণের নিরিখে কেরলকে ছাপিয়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্র। মহারাষ্ট্রে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২,৪৩৫। এর পরে রয়েছে তামিলনাড়ু (২,২৮০), কেরল (২,২১১) ও কর্নাটক (৮৯১)। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডের প্রকোপ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫,৪৪৭ জন। এখনও পর্যন্ত দেশ জুড়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ কোটি ৩০ লক্ষ ১১ হাজার ৮৭৪ জন। বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৮.৪৯ শতাংশ।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে হুয়ের প্রধান বলেন, ‘ভাইরাসের নয়া ঢেউ থেকে স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে যে করোনাভাইরাস মহামারী শেষের ধারেকাছেও নেই। ভাইরাস আমাদের দিকে বাড়তি জোর নিয়ে এগিয়ে এলে আমাদেরও পালটা লড়াই করতে হবে।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি এটা ভেবে উদ্বিগ্ন যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকবে চাপের মধ্যে থাকা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর আরও চাপ বৃদ্ধি করবে এবং মৃতের সংখ্যা বাড়বে।' বিশ্বের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের প্রধানের পরামর্শ, সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং নয়া ভ্যারিয়েন্ট উদ্ভূত হওয়ার সম্ভাবনা বিচার করে বিভিন্ন দেশের সরকারকে নিয়মিত করোনা সংক্রান্ত পরিকল্পনার পর্যালোচনা করতে হবে। নজরদারি, পরীক্ষা এবং জিন সিকোয়েন্সিংয়ের ফের জোর দিতে হবে বলে জানান হুয়ের প্রধান। তাঁর বক্তব্য, নিয়মিত অ্যান্টি-ভাইরাল প্রদান করতে হবে।