বর্ষার ঘাটতি বাড়ল দক্ষিণবঙ্গে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে জুলাই মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত রাজ্যে বৃষ্টির ঘাটতি অব্যাহত রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে এখনও পর্যন্ত ঘাটতি ৪৬ শতাংশ। উত্তরবঙ্গে মাঝে অতিবৃষ্টি হলেও সার্বিকভাবে এখনও পর্যন্ত ঘাটতি ৪ শতাংশ। দক্ষিণবঙ্গে আগামী ৭২ ঘন্টা তীব্র ঘর্মাক্ত অস্বস্তি নিয়েই কাটাতে হবে। বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে কিছু জেলায়। তবে সপ্তাহের শেষে গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমান সামান্য বাড়বে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের পার্বত্য ও লাগোয়া পাঁচ জেলা, অর্থাৎ দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে আগামী তিন দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তারপর ফের কমতে থাকবে বৃষ্টি। দক্ষিণের মতোই পরিস্থিতি ফিরবে উত্তরে।
অন্যদিকে, ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করার ক্ষমতা পুলিশের নেই। তারা লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করতে পারে। বাতিলের সুপারিশ করতে পারে। কিন্তু বাতিল করতে পারে না। মঙ্গলবার এক মামলায় এমনটাই জানাল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের একক বেঞ্চের নির্দেশ, কোনও অপরাধ দেখলে পুলিশ লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করতে পারে। কিন্তু তাদের লাইসেন্স বাতিল করার ক্ষমতা নেই। কোনও ব্যক্তির লাইসেন্স বাতিল করতে পারে লাইসেন্স কর্তৃপক্ষ। গত ১৯ মে সাউথ সিটি মল থেকে নিজের বাড়ি অলিপুরের দিকে যাচ্ছিলেন প্রিয়াসা ভট্টাচার্য। ট্রাফিক পুলিশের দাবি, ওই রাস্তায় ঘণ্টায় ৩০ কিমি গতিতে যাওয়ার কথা। কিন্তু প্রিয়াসা ঘণ্টায় ৬২.১ কিমি গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তাঁর গাড়িটি আটক করে পুলিশ। পর দিন অর্থাৎ ২০ মে, ৯০ দিনের জন্য তাঁর লাইসেন্স বাতিল করে দেয় ট্রাফিক বিভাগের এসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ। ২১ মে লাইসেন্স ফেরত চেয়ে ইমেল করেন প্রিয়াসা। কিন্তু তাঁকে ফেরত দেওয়া হয়নি।