শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি কিছুটা বাড়বে। তবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আপাতত কয়েক পশলা হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতেই দক্ষিণবঙ্গকে সন্তুষ্ট থাকতে হবে। তারইমধ্যে আজ (শুক্রবার) উত্তরবঙ্গের তিন জেলার একটি বা দুটি জায়গায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আজ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় (উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া) হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। আজ উত্তরবঙ্গের সব জেলায় (দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা) হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। শুধুমাত্র তিন জেলার জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার) একটি বা দুটি জায়গায় ভারী বৃষ্টি (৭০ মিলিমিটার থেকে ১১০ মিলিমিটার) বৃষ্টি হতে পারে।
অন্যদিকে, আশঙ্কা ছিলই। তাকেই সত্যি করে তৃণমূলের সমাবেশের দিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত শহরের রাস্তা থেকে বাস, মিনিবাস কার্যত উধাও হয়ে গেল। সমাবেশ শেষ হয়ে এসপ্লানেড চত্বরে কর্মী-সমর্থকদের ভিড় পাতলা না হওয়া পর্যন্ত রাস্তায় দেখা মেলেনি সরকারি বাসেরও। এমনকি ওই সময়ে গুরুত্বপূর্ণ রুটের অটোয় যাত্রী পরিষেবাও বন্ধ রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এ দিকে পথে গণ পরিবহণের আকাল দেখে নিরুপায় যাত্রীদের ভিড় পৌঁছে যায় উত্তর-দক্ষিণ এবং ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর লাইনে। পাশাপাশি শহরতলির ট্রেনেও ভিড় শুরু হয়। যার ফলে উত্তর-দক্ষিণ এবং ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো দিয়ে এ দিন রেকর্ড সংখ্যক যাত্রী যাতায়াত করেছেন বলে মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে। অতিমারি আবহে যাত্রী সংখ্যার সব নজির কার্যত ছাপিয়ে গিয়েছে ওই দুই মেট্রোয়।