তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে আটক করল সিবিআই। খবর সিবিআই সূত্রে। বৃহস্পতিবার সকালে বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে পৌঁছে যায় সিবিআই। সার্চ ওয়ারেন্ট সঙ্গে নিয়ে যায়। সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। সিবিআই মোট ২ কোম্পানি আধাসেনা জওয়ান নিয়ে যায় বলে সূত্রে খবর। অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে পৌঁছনোর পর বাড়ি ঘিরে ফেলেন আধাসেনা জওয়ানরা। অনুব্রতর বাড়িতে যাঁরা আছেন, তাঁদের সবার ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়। পরিস্থিতি এমন হয় যে, অনুব্রতর দেহরক্ষীরা পর্যন্ত বাড়িতে ঢুকতে পারছিলেন না। পরে অবশ্য কেষ্টর দেহরক্ষীদের প্রধানকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়। ঘণ্টাখানেক পর অনুব্রতকে বাড়ি থেকে বার করা হয়। বসানো হয় সিবিআইয়ের গাড়িতে। জানা যাচ্ছে, দুর্গাপুরে সিবিআইয়ের ক্যাম্প অফিসে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে দফায় দফায় তাঁকে জেরা করবেন সিবিআই আধিকারিকরা।
সিবিআই সূত্রে খবর, আজ অনুব্রত মণ্ডলকে প্রথমবার অভিযুক্ত হিসেবে নোটিস দেওয়া হয়। এর আগে তাঁকে ১০ বার সাক্ষী হিসেবে নোটিস ধরানো হয়েছিল। সায়গল হোসেনকে জেরাতেই অনুব্রত মণ্ডলের নাম উঠে আসে বলে দাবি সিবিআই সূত্রের। কিন্তু দশম নোটিসের পরেও হাজিরা এড়িয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। অসুস্থ থাকার কারণ দেখিয়ে সিবিআই-এর মুখোমুখি হতে পারবেন না বলে জানানো হয় তাঁর আইনজীবীদের তরফে। বলা হয়, অনেক বেশি সফর করার কারণে বিধ্বস্ত রয়েছেন অনুব্রত। পাশাপাশি, সিবিআই-এর দশম নোটিস পেয়ে তিনি মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত। এরপরই বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ সিবিআই আধিকারিকরা অনুব্রতের বাড়িতে পৌঁছে যান। তবে ভিতর থেকে দরজা তালা বন্ধ থাকায় আধঘণ্টা অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন সিবিআই আধিকারিকরা। তারপর ভিতরে ঢুকতে পারেন তাঁরা।