আজ কৌশিকী অমাবস্যা। কালি সাধকদের জন্য আজ এক অন্যতম পবিত্র দিন। অতি নিষ্ঠার সঙ্গে আজকের এইদিনে কালিভক্তরা মা কালীকে স্মরণ করে। ঠিক তেমনই এক কালি ভক্ত অনুব্রত মণ্ডল। আপাতত এই কালি ভক্তের ঠাঁই আসানসোলের জেলে হলেও, তিনি মায়ের আরাধনা করছেন নিজের মতো অন্যবারের মতো। এদিন আসানসোল সংশোধনাগারেই দিলেন কালী পুজো। সকাল সকাল স্নান সেরে, জেলের ছোট্টো মন্দিরেই পুজো দেন তিনি।
জেল সূত্রে খবর, শুক্রবার কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষ্যে পুজো দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। তাঁকে দেওয়া হয় অনুমতিও। জেল চত্বরেই আছে এক হনুমান মন্দির। আর সেই মন্দিরের পাশেই রয়েছে মা কালীর ছবি। সকাল সকাল স্নান সেরে সেই মন্দিরে গিয়ে জবার মালা, নকুল দানা, ধূপ দিয়ে কালী আরাধনা করেন অনুব্রত মণ্ডল. এমনটাই সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর এই দিনে তারাপীঠে গিয়ে মায়ের আরাধনা করেন অনুব্রত মণ্ডল। এমনকী তারাপীঠে এই বিশেষ পুজোর প্রচারে ফ্লেক্স, ব্যানারে অনুব্রত ছবিতে ছয়লাপ থাকে। তবে এবারে ছবিটা একটু অন্য। গত ১১ অগাষ্ট গরু পাচার মামলায় সিবিআই গ্ৰেফতার করে অনুব্রত মণ্ডলকে। আসানসোল আদালত তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আপাতত তিনি আসানসোল সেলেই রাখা হয়েছে তাঁকে। তাই এইবার জেলের ভিতরেই মায়ের আরাধনা করলেন তিনি।
অন্যদিকে, পূর্ব বর্ধমানের যে তিনটি বিধানসভা এলাকা অনুব্রত মণ্ডল দেখতেন, সেই মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম ও আউশগ্রাম এ বার থেকে দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হল সেই জেলার তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে। তৃণমূল সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার এক বৈঠকে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে এই বার্তাই দেওয়া হয়েছে। এ দিনই অনুব্রতের শ্বাসকষ্টের জন্য তাঁকে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকরা দেখে জানান, ‘মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি’ নেই। সেখান থেকে ফেরার সময়ে রোগী ও তাঁদের পরিজনদের ক্ষোভের মুখেও পড়তে হয় তাঁকে।