বর্ষা বিদায় নেওয়ার অনুকূল পরিস্থিতিও তৈরি হয়ে গিয়েছে। একদিনের মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গ থেকে বর্ষা বিদায় নিতে পারে। বঙ্গোসাগরে ঘূর্ণাবর্তের চোখ রাঙানি থাকলেও আপাতত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই সেভাবে। এদিকে সকালের দিকে হালকা শীতের আমেজ অনুভূত হতে পারে। তবে বেলা বাড়তেই তাপমাত্রা তড়তড়িয়ে বাড়বে। মঙ্গলবার কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার সর্বনিম্নত তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আজ ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৮০ শতাংশের আশেপাশে থাকতে পারে। মঙ্গলবার দিনের আকাশ রৌদ্রজ্বল থাকবে।
অন্যদিকে, মৌসমের ভবনের তরফে বলা হয়েছে, উত্তর আন্দামান সাগরে ঘূর্ণাবর্ত আজ থেকেই পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে এগোতে শুরু করবে। ২০ অক্টোবর এটি নিম্নচাপে পরিণত হতে চলেছে। দক্ষিণ পূর্ব এবং সংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগরে এটি নিম্নচাপ হয়ে অবস্থান করবে। ২০ তারিখের পর এটি সমুদ্র পৃষ্ঠে শক্তি সঞ্চয় করে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। প্রাথমিকভাবে এর অভিমুখ অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ু উপকুল। সরাসরি আমাদের রাজ্যে এর প্রভাব পড়বে না বলেই এখনও পর্যন্ত মৌসম ভবন সূত্রে খবর। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং নিয়েও রাজ্যে খুব একটা চিন্তার কিছু নেই বলেই জানান হয়েছে। যদিঈ নতুন সিস্টেমের দিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ রেখে চলেছে মৌসম ভবন। এখনও পর্যন্ত সিত্রাং এর কোনো পূর্বাভাস দেয়নি। তবে পারিপার্শিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রবল বা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়েএ সম্ভাবনা কম বলেই মনে করা হচ্ছে। নতুন সিস্টেমের মূল অভিমুখ দক্ষিণ ওড়িশা এবং উত্তর অন্ধ্র উপকুল থাকবে বলে প্রাথমিক অনুমান। এ বিষয়ে পরবর্তী পর্যবেক্ষণ ধাপে ধাপে জানাবে মৌসম ভবন।