BARC-এর একজিট পোলে বলা হয় যে MCD নির্বাচনে আপ একক বৃহত্তম দল হতে পারে। আপ ১৩৪-১৪৬ আসন, বিজেপি ৮২-৯৪, কংগ্রেস ৮-১৪ এবং অন্যান্যরা ১৪-১৯ আসন পেতে পারে। অন্যান্য এক্সিট পোলেও একই চিত্র দেখা যায়। কিন্তু বিজেপি এই সমস্ত একজিট পোলের ভবিষ্যদ্বাণী মিথ্যা প্রমাণ করে একটি দুর্দান্ত ফলাফল করছে। গত ১৫ বছর ধরে এমসিডিতে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। এ বার ২৫০ আসনের মধ্যে আপ জিতেছে ১৩৪টি আসন। ২০১৭-এর তুলনায় ৮৬টি বেশি। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট বলছে, আপ এ বছর পেয়েছে ৪২.২ শতাংশ ভোট। ২০১৭ সালের পুরভোটে আপ ভোট পেয়েছিল ২৬.২৩ শতাংশ।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটে আপকে খালি হাতে ফিরিয়েছিলেন দিল্লির বাসিন্দারা। কিন্তু ২০২০ সালের বিধানসভা ভোটে তাঁরাই দুর্দান্ত জয় এলে দিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে। পুরনিগমে ১৫ বছরের বিজেপি শাসনকে সরিয়ে, এ বারও তাঁরা দু’হাত ভরে আশীর্বাদ দিল কেজরীওয়ালের বাহিনীকে। ভোট এবং আসন— উভয় নিরিখেই এ বার বিশাল লাফ দিল আপ। রবিবার অর্থাৎ চার ডিসেম্বর দিল্লিতে ২৫০টি পৌর কর্পোরেশন ওয়ার্ডের জন্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রায় ৫০.৪৭ শতাংশ ভোটদানের হার রেকর্ড করা হয়। এর পরে, প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবং আম আদমি পার্টি (এএপি) তাদের নিজের দলের জয়ের দাবি করে। এখনও পর্যন্ত ১০টি আসনের সম্পূর্ণ ফলাফল এসেছে। মোহন গার্ডেন আসনে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। অন্যদিকে কাদিপুর থেকে জিতেছে আম আদমি পার্টি। রাজেন্দ্র নগর থেকে জয়ী হয়েছেন আপের অঙ্কুশ নারাং। দরিয়াগঞ্জ থেকেও জিতেছে আম আদমি পার্টি। অন্যদিকে রোহিণী ডি থেকে জিতেছেন বিজেপির স্মিতা। রোহিণী এফ থেকে জিতেছেন বিজেপির রিতু গোয়েল। গৌতমপুরী থেকে জয় পেয়েছেন বিজেপির সত্য শর্মা। জামা মসজিদ থেকে জয়ী হয়েছেন আম আদমি পার্টির সুলতানা আবাদ।