জাঁকিয়ে শীত পড়েছে দিল্লিতে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। বৃহস্পতিবার সকালে দেশের রাজধানীর বিদ্যুতের চাহিদা পৌঁছেছিল ৫,২৪৭ মেগাওয়াটে। যা গত দু’টি শীতের মরসুমে কখনও দেখা যায়নি। শীতের দিল্লি এখন টেক্কা দিচ্ছে হিমালয়ের পাহাড়ি শহরগুলিকে। বৃহস্পতিবার দেশের রাজধানী শহরের একাধিক জায়গার তাপমাত্রা আড়াই ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নেমে গিয়েছিল।
অন্যদিকে, আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ মরসুমের শীতলতম দিনে কলকাতার তাপমাত্রা নামল ১০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। অন্যদিকে দিনের তাপমাত্রাও নেমে এল ২১.৯ ডিগ্রিতে। যা, স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। রাতারাতি ২ ডিগ্রি পারদ পতনে কাঁপছে কলকাতা। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, জাঁকিয়ে শীতের এই স্পেল চলবে রবিবার পর্যন্ত। জমিয়ে ঠান্ডা জেলায় জেলায়। উত্তরবঙ্গের দু-এক জেলায় ঘন কুয়াশা হতে পারে। বাকি জেলায় সকালে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে, পরে আকাশ পরিষ্কার হবে। অবাধে উত্তুরে হাওয়ায় আজ কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হবে। রবিবারের পর তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
রাজ্যে এখন রীতিমতো জাঁকিয়ে শীতের পরিস্থিতি। জেলায় জেলায় কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থা। এই স্পেল চলবে শনিবার পর্যন্ত। শনিবারে আরও একটু তাপমাত্রা নামতে পারে। রবিবারেও জমিয়ে শীতের আমেজ বজায় থাকবে। রবিবারের পর আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। সোম মঙ্গলবার সামান্য বাড়তে পারে তাপমাত্রা। কিন্তু আগামী সপ্তাহের শেষে আবার একটা জাঁকিয়ে শীতের স্পেল আসতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ঘন কুয়াশার দাপট থাকবে। সকালে কুয়াশা থাকবে রাজ্যের অধিকাংশ জেলাতেই। হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। অবাধ উত্তুরে হাওয়াতে কনকনে ঠান্ডা জেলায় জেলায়। ঝাড়খন্ড ও বিহার সংলগ্ন জেলাগুলিতে শৈত্য প্রবাহের মতন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা। পশ্চিমাঞ্চলের জেলায় তাপমাত্রা আট ডিগ্রি বা তার নিচে নামতে পারে।