খোঁজ পাওয়া গেল ল্যান্ডার বিক্রমের

GHOSH ARPAN

শুক্রবার রাতে চাঁদ থেকে মাত্ক ২.১ কিমি দূর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে। তারপর লাগাতার চেষ্টা কোথায় গেল বিক্রম। রবিবার দুপুরে ইসরো চেয়ারম্যান কে শিভন জানালেন, খোঁজ পাওয়া গিয়েছে ল্যান্ডার বিক্রমের। অরবিটারের পাঠানো থার্মাল ছবিতেই খোঁজ মিলেছে বিক্রমের। থার্মাল ইমেজিং –এর মাধ্যমে চন্দ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা পরিমাপ করে আলাদা করে চিহ্নিত করা হয়েছে বিক্রমের অবস্থান। যদিও এখনও পর্যন্ত বিক্রমের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা যায়নি। বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হলেই তবেই মিলবে জরুরি তথ্য। ল্যান্ডিংয়ের সময় কী হয়েছিল জানা যাবে সেই তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে।

উল্লেখ্য, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইসরো কর্তা জানিয়েছেন, ইসরোর চন্দ্রযান ২ কখনই অসফল নয়। চন্দ্রযানের মাত্র ৫ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বাকি ৯৫ শতাংশ এখনও ঠিক আছে। অরবিটার এখনও ছবি পাঠাবে। সারা বছর ধরে ছবি পাঠাবে। হয়তো অরবিটারের মাধ্যমেই বিক্রমের সন্ধান পাওয়া গেলেও যেতে পারে এবং ওই দিন কী ঘটেছিল তার হদিশও পাওয়া যেতে পারে।

অন্যদিকে, এবার গগনযাত্রা। ২০১৮ সালেই স্বাধীনতা দিবসের দিন গগনযাত্রা প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়। ২০২২ সালে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার কথা। সেই মতো এই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ভারতীয় বায়ুসেনার ১২ জন পাইলটকে ইসরো বাছাই করেছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁদের তাঁরা বেঙ্গালুরুর ইনস্টিটিউট অব এরোস্পেস মেডিসিনে প্রথম দফার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বাছাইয়ের পর চার জনকে মহাকাশে পাঠানো হবে। আগামী তিন মাস আরও কঠিন পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণ হতে হবে তাঁদের। কারণ, মহাকাশে প্রতিকবল পরিস্থিতি ও কঠিন সমস্যার মোকাবিলা করতে হতে পারে তাঁদের। এইভাবে পরীক্ষার পর রাশিয়ায় তাঁদের চূড়ান্ত পরীক্ষা হবে। উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে ভারতের প্রথম মহাকাশচারি রাকেশ শর্মাও বায়ুসেনার একজন পাইলট ছিলেন। তিনিও রুশ অভিযাত্রী দলের সঙ্গে মহাকাশে গিয়েছিলেন।


Find Out More:

Related Articles: