একেবারেই সমুদ্রের ধারে খোলা হাওয়ায় নাচের আসর। তালে তালে বেজে উঠবে নূপুর। ঢেউয়ের তালে নেচে উঠবেন একঝাঁক নৃত্যশিল্পী। প্রতি বছরের মতো এবছরও আসছে শীতে অতিথি পাখি আর পর্যটকের আনাগোনা বাড়বে।
তবে এই বাংলায় নয় সূদূর পদ্মা পাড়ের দেশে কক্সবাজারের সৈকতে বসবে নানা সংস্কৃতির মানুষের মেলা। সেই আনন্দে নতুন মাত্রা যোগ করতে সৈকতে বসতে যাচ্ছে চার দিনের নাচের উৎসব ‘ওশান ডান্স ফেস্টিভ্যাল-২০১৯’।
আগামী ২২ থেকে ২৫ নভেম্বর কক্সবাজারের সৈকতে বসতে যাচ্ছে এ উৎসব। বিশ্বব্যাপী নৃত্যশিল্পীদের সংগঠন দ্য ওয়ার্ল্ড ডান্স অ্যালায়েন্স-এশিয়া প্যাসিফিকের (ডব্লিউডিএ-এপি) বার্ষিক সভার আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশে। একই সময়ে ডব্লিউডিএ-এপির বাংলাদেশ শাখা নৃত্যযোগ প্রথমবারের মতো শুরু করতে যাচ্ছে ‘ওশান ডান্স ফেস্টিভ্যাল’ নামের একটি দ্বি-বার্ষিক নৃত্য উৎসব। বাংলাদেশের সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্যের সঙ্গে সাংস্কৃতিক পর্যটনের মেলবন্ধন রচনার জন্যই এই আয়োজন। এশিয়ার ১৫টি দেশ থেকে এ উৎসবে যোগ দেবেন প্রায় দুই শতাধিক নৃত্যশিল্পী, শিক্ষক, গবেষক ও কোরিয়োগ্রাফার।
ইতিমধ্যে তাইওয়ান, কোরিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের শিল্পীরা এ উৎসবে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন। নিবন্ধনের মাধ্যমে আগ্রহীরা এ উৎসবে অংশ নিতে পারবেন। উৎসব চলাকালীন প্রতিদিন বিকেল চারটা থেকে ওশান ডান্স ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হবে বাংলাদেশ, এশিয়া ও এশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন ঘরানার নৃত্য। বিকেলের এ অংশে যোগ দিতে বিনামূল্যে নিবন্ধন করা যাবে অনলাইন বা উৎসবস্থলে। উৎসবের এক অনন্য অধ্যায় হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ভিন্ন ভিন্ন তিনটি যৌথ প্রকল্প। অন্যটি হচ্ছে ১৫ দিনের একটি কোরিওল্যাব, যেটি শুরু হবে উৎসবের আগে। কানাডীয়-ইরানি অভিজ্ঞ নৃত্যগুরু সাশার যারিফ আগামী ৫ থেকে ১৫ নভেম্বর এ কোরিওল্যাবটি পরিচালনা করবেন।