মাত্র দু’মাসের প্রস্তুতিতে অলিম্পিক্সে যাওয়া প্রণতি রবিবার টোকিও অলিম্পিক্সে (Tokyo Olympics 2020) দুরন্ত প্রচেষ্টা করেও সফল হতে পারলেন না। দ্বাদশ স্থানে শেষ করে ফাইনালে যাওয়া হলো না মেদিনীপুরের পিংলার মেয়ে। প্রণতির আর দীপা কর্মকার হয়ে ওঠা হলো না। এদিন অলরাউন্ড পর্বে প্রণতির মোট স্কোর ৪২.৫৬৫। এর মধ্যে তিনি সর্বোচ্চ পয়েন্ট পেয়েছেন ভল্টে (১৩.৪৬৬)। এ ছাড়া ফ্লোরে ১০.৬৩৩, আনইভেন বারে ৯.০৩৩ এবং ব্যালান্স বিমে ৯.৪৩৩ পয়েন্ট পেয়েছেন তিনি। মহাদেশীয় কোটায় শেষ মুহূর্তে অলিম্পিক্সের ছাড়পত্র পেয়েছিলেন। প্রণতি। তার ওপর শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশেরই প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু এদিন প্রণতি প্রত্যাশা পূরণ করতে পারলেন না।
অন্যদিকে, জয়ের পর যারপরনাই খুশি হায়দরাবাদের এই ব্যাডমিন্টন সুন্দরী। তিনি বললেন, 'অভিজ্ঞতার দিক থেকে, শারীরিক এবং মানসিকভাবে আমি অনেকটাই বদলে গিয়েছি। টোকিয়ো অলিম্পিক ২০২০ টুর্নামেন্টে আমি একেবারে আলাদা মানসিকতা নিয়ে খেলতে এসেছি। আপাতত আমি কোনও প্রত্যাশাই করছি না।' এদিন কেসিনিয়া পোলিকারপোভাকে বিন্দুমাত্র নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ দেননি বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ৭ নম্বরে থাকা পিভি সিন্ধু। যদিও ম্যাচের প্রথম পয়েন্ট তুলে নিয়েছিলেন পোলিকারপোভা। প্রথম গেমের শুরুর দিকে সিন্ধুকে কিছুটা আড়ষ্ট মনে হচ্ছিল। যতই হোক অলিম্পিকের মতো প্রতিযোগিতা বলে কথা। তাও আবার প্রথম ম্যাচ। দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার সুযোগও পাননি। জড়তা থাকাই স্বাভাবিক। জড়তা কাটিয়ে উঠে নিজের সেরা ছন্দে পৌঁছতেই খড়কুটোর মতো উড়ে গেলেন কেসিনিয়া পোলিকারপোভা।