হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে প্রাক্তন ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্তর। অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটাই কমে গিয়েছে। তাঁকে পোর্টেবল বাইপাপ চিকিৎসা ব্যবস্থার মধ্যে রাখা হয়েছে। হয়ত পুরো মাত্রায় বাইপাপ চিকিৎসা চালু করতে হবে। বাইপাসের ধারে যে হাসপাতালে এই প্রাক্তন ফুটবলার ভর্তি আছেন, সেখান থেকে গভীর রাতে ফোন করে জানানো হয়, আইসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়েছে তাঁকে। কারণ, অক্সিজেনের মাত্রা ৫৩-এ নেমে গিয়েছে। এর পরেই পোর্টেবল বাইপাপ ব্যবস্থার মাধ্যমে অক্সিজেন দেওয়া হয় সুরজিৎকে। কিন্তু তাতে খুব একটা সন্তোষজনক ফল পাওয়া যাচ্ছে না। অক্সিজেনের মাত্রা ৭০-এর আশেপাশে থাকছে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার গভীর রাতে তাঁরে ভর্তি করা হয়েছে বাইপাসের ধারের এক বেসরকারি হাসপাতালে। জানা গিয়েছে দেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা উইঙ্গারের শরীরে অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে যাওয়ায় তাঁকে রাখা হয়েছে অক্সিজেন সাপোর্টে। সাতের দশকের শেষ দিকে ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক হওয়া সুরজিৎ সেনগুপ্ত কলকাতার তিন প্রধান মাতালেও, লাল-হলুদের 'ঘরের ছেলে' হয়ে গিয়েছিলেন। দলের একাধিক যুদ্ধ জয়ের নেপথ্যের নায়ক ছিলেন তিনি।১৯৭০ থেকে ১৯৭৫ এবং ১৯৭৭-এর কলকাতা ফুটবল লিগ, ছ’বার আইএফএ শিল্ড, তিন বার ডুরান্ড জয়ের মুকুট উঠেছিল ইস্টবেঙ্গলের মাথায়। স্বপ্নের দৌড়ে চলছিল লাল-হলুদ বাহিনীর। ১৯৭৫ সালের ডার্বিতে (আইএফএ শিল্ডের ফাইনাল) ইস্টবেঙ্গল ৫-০ গোলে হারিয়েছিল মোহনবাগানকে। ঐতিহাসিক এই ম্যাচের পাঁচ মিনিটে গোল করেই দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত। জোড়া গোল করেছিলেন শ্যাম থাপা, স্কোরশিটে নাম লেখান রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় এবং শুভঙ্কর সান্যালও।