শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম টি-২০ ম্যাচে রেকর্ড বইয়ে নাম উঠে গেল রোহিতের। ৪৪ রান করার পথে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় শীর্ষে চলে এলেন ভারত অধিনায়ক। পিছনে ফেলে দিলেন বিরাট কোহলি (৩২৯৬) এবং মার্টিন গাপ্টিলকে (৩২৯৯)। ১২৩ ম্যাচে রোহিতের সংগ্রহ ৩৩০৭। লেগস্পিনার যুজ়বেন্দ্র চহালও এ দিন একটি নজির গড়ে ফেললেন। যশপ্রীত বুমরাকে পিছনে ফেলে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তিনি হয়ে গেলেন ভারতের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। চহালের শিকার সংখ্যা ৬৭।
তবে রোহিতের সিংহাসনে বসা কিন্তু সাময়িক। কারণ রোহিত-গাপটিল এবং কোহলির মধ্যে রানের ব্যবধান কিন্তু খুব বেশি না। ফলে এই তিনের মধ্যে এক নম্বর আসনটা নিয়ে লড়াই জারি থাকবে। একথা বলাই যায়। আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে রোহিতের সেঞ্চুরির সংখ্যা ৪। এই ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি শতরান তিনি হাঁকিয়েছেন। গাপটিলের রয়েছে জোড়া শতরান। এখনও কোহলি টি-২০ ক্রিকেটে সেঞ্চুরির স্বাদ পাননি। এই সিরিজেই রোহিতের চোখ থাকবে আরও একটি অনন্য বিশ্বরেকর্ডে। সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ খেলা ক্রিকেটার হতে চলেছেন তিনি। রোহিতের ১২৩টি টি-২০ ম্যাচ খেলা হয়ে গেল। তাঁর ঠিক আগেই রয়েছেন পাকিস্তানের শোয়েব মালিক।
অন্যদিকে, ম্যাচের আগে শ্রেয়সের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, আপনি তিন থেকে শুরু করে নানা জায়গায় ব্যাট করেছেন। কিন্তু তিন নম্বরে ব্যাট করা নিয়ে কী বলবেন? সম্প্রচারকারী চ্যানেলে শ্রেয়স বলেন, ‘‘তিন নম্বরে আমি সাবলীল বোধ করি। তিনে খেলেই আমি বড় হয়ে উঠেছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘তিন নম্বরে নামার মানে হল, ওপেনার যদি তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যায়, তা হলে আপনাকে ওপেনারের ভূমিকাটাই পালন করতে হয়। তা ছাড়াও আপনার হাতে সময় থাকে উইকেটে জমে যাওয়ার। আর পরের দিকে দ্রুত রান তোলার। ম্যাচটা শেষ করে আসার সুযোগও থাকে আপনার সামনে। তাই ওই নম্বরে ব্যাট করার সুযোগ পাওয়াটা দারুণ ব্যাপার।’’ তবে শ্রেয়স এও বলতে ভোলেননি, ‘‘ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে আমি সব সময় নমনীয়। দলের জন্য যে কোনও জায়গায় খেলতে তৈরি।’’