শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের অন্তর্দ্বন্দ্ব এবার প্রকাশ্যে। বুধবার কার্যকরী কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকেই সভার মতবিরোধের ছবি ফুটে ওঠে। এদিন বৈঠকের পর মাঠ সচিব তন্ময় চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করেন এবং তাঁর জায়গায় মাঠ সবিচ হিসাবে পিন্টু বিশ্বাসের নাম মনোনীত করা হয়। যিনি সম্পর্কে আবার অরূপ বিশ্বাসের আত্মীয়। তাঁর মনোনয়ন ঘিরেই বিবাদ বাঁধে মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত এবং ফুটবল সচিব তথা মুখ্য়মন্ত্রীর ভাই স্বপন (বাবুন) বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে। কমিটির সদস্য পিন্টু বিশ্বাসকে মাঠ সচিব করার প্রস্তাব উঠলে আপত্তি জানান স্বপন। তিনি আপত্তির কারণ হিসেবে বলেন পিন্টু দু’বছর সদস্য পদ নবীকরণ করেননি। প্রকাশ্যে বিযয়টি জানাতে গেলে তাঁকে থামিয়ে দেন সচিব। পরিস্থিতি সামাল দিতে হয় অন্যতম সহ-সভাপতি কুণাল ঘোষকে।
মত পার্থক্যের জেরে বেছে নেওয়া যায়নি সভাপতিও। আবার বৈঠক করবে কার্যকরী কমিটি। সচিবের আশ্বাস এক মাসের মধ্যেই সভাপতির নাম চূড়ান্ত হয়ে যাবে। একই কারণে বেছে নেওয়া যায়নি দু’জন সহ-সভাপতিকেও। প্রাক্তন সহ-সভাপতি সৌমিক বসুকে আবার সহ সভাপতি পদে আনা হলেও একটি আসন খালিই থাকল। কমিটিতে এসেছেন প্রাক্তন সচিব প্রয়াত অঞ্জন মিত্রর মেয়ে সোহিনী মিত্র। আলোচনা হয়েছে ক্লাবের নামের আগে থেকে এটিকে শব্দ মুছে ফেলা নিয়েও। সচিবের বক্তব্য, ‘‘নাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কালকেই সমাধান হয়ে যাবে না। একটু সময় লাগবে। নিশ্চিত ভাবে সমাধান হবে।’’ কবে এই সমস্যার সমাধান হয় সেই দিকেই তাকিয়ে ক্লাবের সমর্থকরা।