সাইপ্রাসের আপোলন লেডিসের হয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অভিষেকের অপেক্ষায় ভারতীয় ফুটবল দলের নতুন তারা। স্কটল্যান্ডের বিখ্যাত রেঞ্জার্স এফসিতে তিন বছর আগে বালা দেবী যখন সই করেছিলেন, আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল। তাঁর আগে ভারতের কেউ ইউরোপের সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলার সুযোগ পাননি। ২০ বছরের মনীষা কল্যাণ ছাপিয়ে গেলেন বালা দেবীকেও। দু’বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হলেন সাইপ্রাসের লিগ চ্যাম্পিয়ন ক্লাব আপোলনের সঙ্গে। প্রথম ভারতীয় ফুটবলার হিসেবে তিনি খেলবেন উয়েফা মহিলা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে এত বছরে ও কোন পুরুষ বা মহিলা ফুটবলার যা করে দেখাতে পারেননি, তাই করে দেখালেন মনীষা।
মনীষা গোকুলামের জার্সিতে দু'বার ভারতের জাতীয় লিগের খেতাব জিতেছেন। ভারতের হয়ে ইতিমধ্যেই ১৭ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচও খেলেছেন তিনি। ঝুলিতে রয়েছে চারটি আন্তর্জাতিক গোলও। ১৮ এবং ২১ অগস্ট অ্যাপোলন লেডিসের সেমিফাইনাল কোয়ালিফাইং রাউন্ডের দুই লেগের ম্যাচ রয়েছে লাটভিয়ার রিগাস এফএসের সঙ্গে। এর পর অ্যাপোলন লেডিসকে খেলতে হবে এফসি জুরিখ অথবা ক্লাকসভিকার ফুটবল ক্লাবের সঙ্গে। এই ম্যাচ জিতলে তবেই গ্রুপ স্টেজে পৌঁছতে পারবে তারা।
প্রসঙ্গত, মনীষার ফুটবলার হয়ে ওঠার কাহিনিও কম আকর্ষণীয় নয়। শৈশবে স্বপ্ন ছিল অ্যাথলিট হওয়ার। ১০০ ও ২০০ মিটার দৌড়তেন। পাশাপাশি বাস্কেটবলও খেলতেন। কিন্তু অষ্টম শ্রেণীতে ওঠার পরেই বদলে যায় তাঁর জীবনের লক্ষ্য। স্কুলের শারীরশিক্ষার শিক্ষক ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার। তিনি কিছুটা জোর করেই মনীষাকে জেলা ফুটবল দলের ট্রায়ালে নিয়ে গিয়েছিলেন। অসাধারণ খেলে জেলা দলে নির্বাচিত হয়ে এত আনন্দ হয়েছিল তাঁর যে, মাঠে দাঁড়িয়েই প্রতিজ্ঞা করেছিলেন ফুটবলার হওয়ার।