প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে ২০০০ রান ও ১০০ উইকেট নিলেন শাকিব আল হাসান। মোট ৯৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে শাকিব ২০০৫ রান করেছেন। গড় ২৩.৩১, স্ট্রাইক রেট ১২০.৭৮। অর্ধশতরান রয়েছে ১০টি। বল হাতে শাকিবের উইকেট ১২০টি। ওভার পিছু রান দিয়েছেন ৬.৭০। রবিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে শাকিব চার ওভারে ৩৮ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন। এরপর ব্যাট হাতে তিনি ৫২ বলে ৬৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। এই ইনিংসে তিনিই বংলাদেশের হয়ে সব থেকে বেশি রান করেন। শাকিব সফল হলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৩৫ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৩ রান করে ক্যারিবিয়ানরা। ব্র্যান্ডন কিং (৪৩ বলে ৫৭) এবং রোভম্যান পাওয়েল (২৮ বলে অপরাজিত ৬১) ভাল রান পান। শাকিবের ১ উইকেট ছাড়া শোরিফুল ইসলাম ২টি এবং মেহদি হাসান ও মোসাদ্দেক হোসেন ১টি করে উইকেট নেন।
অন্যদিকে, ৯৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দলটাকে দেখে এক সময় মনে হচ্ছিল যে, ১৫০ রানও পার করতে পারবে না। কিন্তু সেখান থেকেই খেলা ঘুরিয়ে দেন পন্থ-জাদেজা যুগলবন্দি। শক্ত হাতে দলকে টেনে তুলেছিল সিনিয়র-জুনিয়র মিলে। ১১১ বলে ১৪৬ রানের ভয়ডরহীন মারকুটে ক্রিকেট খেলে আউট হয়েছিলেন পন্থ। তাঁর সঙ্গে ৮৩ রান যোগ করেছিলেন জাদেজা। যদিও পরে তিনি শতরানও (১০৪) হাঁকান। ষষ্ঠ উইকেটে় জুটি বেঁধে ২২২ রান করেছিলেন পন্থ-জাদেজা। এই ভারতীয় জুটিতে মোহিত হয়েছেন কিংবদন্তি প্রোটিয়া ক্রিকেটার এবি ডিভিলিয়ার্স। ডিভিলিয়ার্স সোমবার টুইটারে লেখেন, "আমিতে বাড়িতে না থাকার জন্য সেভাবে ক্রিকেট দেখতে পারিনি। হাইলাইটস দেখা শেষ করলাম এখন। ঋষভ পন্থ ও রবীন্দ্র জাদেজার কাউন্টারঅ্যাটাক পার্টনারশিপ দেখলাম। টেস্ট ক্রিকেটে দেখা আমার অন্যতম সেরা।"