স্টোকসের অবসরের কথা শুনে বিরাট কোহলী বলেন, “আমি যাদের বিরুদ্ধে খেলেছি, তাদের মধ্যে তুমি সব থেকে বেশি লড়াকু। সম্মান জানাই তোমাকে।” উত্তরে স্টোকস বলেন, “যে কোনও ধরনের ক্রিকেটে ও অন্যতম সেরা। ওর বিরুদ্ধে যখনই খেলেছি, তখনই ভাল লেগেছে। খেলার মধ্যে যে প্রাণশক্তি এবং দায়বদ্ধতা ও দেখিয়েছে আমি সেটাকে শ্রদ্ধা করি। বিরাটের মতো ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে খেললে বোঝা যায় সর্বোচ্চ পর্যায় খেলছি। ও যা বলেছে শুনে আমার ভাল লাগল।”
প্রসঙ্গত, টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেললেও এক দিনের ক্রিকেট আর খেলবেন না স্টোকস। তিনি বলেন, “যে সূচি আমাদের জন্য থাকে, সেটা সহ্য করা আমার পক্ষে কঠিন। ইংল্যান্ডের জার্সি পরলে ১০০ শতাংশ দিতেই হয়। সেটাই পারছি না। এক জন ক্রিকেটার যে নিজের সবটা ইংল্যান্ডের জন্য দিতে চায় তার জায়গা আটকে রাখছি। অনেক ভেবে দেখলাম আমার পক্ষে তিন ধরনের ক্রিকেটে খেলা মুশকিল। সেই সময় ভাবলাম যে কোনও একটি ধরনের সাদা বলের ক্রিকেট খেলব। কিন্তু কোনটা খেলব সেটা তখনও ঠিক করিনি। ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম এক দিনের ম্যাচ খেলার পরেই মনে হল, এটা থেকেই সরতে হবে।”
অন্যদিকে, শেষ পর্যন্ত মহেন্দ্র সিং ধোনির (Mahendra Singh Dhoni) চেন্নাই সুপার কিংসকে (Chennai Super Kings) বিশেষ বার্তা দিলেন রবীন্দ্র জাদেজা (Ravindra Jadeja)। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে জাদেজা লিখলেন, 'কারও জন্য বা কোনও কিছুর জন্য নিজেকে ছোট করব না। আত্মসম্মানই হল সব কিছু।' যদিও কার উদ্দেশ্যে জাড্ডু সেই বার্তা দিয়েছেন, সেটা স্পষ্ট নয়। জাদেজার ইনস্টাগ্রাম স্টোরি দেখে একাংশের প্রশ্ন, সিএসকে-এর উদ্দেশে কি সেই বার্তা দিয়েছেন ভারতের তারকা অলরাউন্ডার? কারণ সম্প্রতি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে গত তিন বছরের সিএসকে সংক্রান্ত সমস্ত পোস্ট মুছে ফেলেন জাদেজা। সেই সময় জাদেজার ঘনিষ্ঠ এক সূত্র একটি সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, ‘ও খুব বিরক্ত এবং আহত। অধিনায়কত্বের বিষয়টি আরও ভাল ভাবে সামলানো যেত। সব কিছু খুব আকস্মিকভাবে ঘটেছে। পুরো বিষয়টি যে ভাবে এগিয়েছে, সেটা যে কোনও মানুষকে আঘাত করবে।’