চোটের জন্য আগেই প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা (Ravindra Jadeja)। এ বার সেই তালিকায় নাম লেখালেন আবেশ। পাকিস্তান (Pakistan) ও হংকং-এর (Hong Kong) বিরুদ্ধে দুটি ম্যাচ খেলেই জ্বরের কবলে পড়েছিলেন এই তরুণ ডানহাতি জোরে বোলার। সেইজন্য সুপার ফোরের লড়াইয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামতে পারেননি আবেশ। এখন জানা গিয়েছে, অসুস্থতার কারণে এশিয়া কাপে খেলতে পারবেন না তিনি। টিম ম্যানেজমেন্ট সুত্রের খবর আবেশের বদলে দীপক চাহারকে (Deepak Chahar) দলে নেওয়া হয়েছে। যদিও এই ইস্যু নিয়ে এখনও সরকারি ঘোষণা সেরা হওয়ার প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবেন না ভারতীয় পেসার। তাঁর পরিবর্তে দীপক চাহারকে তৈরি রাখা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বোর্ড কর্তা বলেন, সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, 'আবেশের জ্বর আছে। জ্বরের পর ওঁর সাইনাসের সমস্যারও বেড়েছে। তাই ও আর টুর্নামেন্টে খেলতে পারবে না। দীপক চাহার ওখানেই আছেন। মূল স্কোয়াডে ওকে নেওয়া হবে।'
অন্যদিকে, সামনে বাঁ হাতি জোরে বোলার দেখলেই কি ভারতীয় ব্যাটারদের বুকে কাঁপুনি শুরু হয়ে যায়? মনে তৈরি হয় দ্বিধাদ্বন্দ্ব? মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন বিরাট কোহলীরা? না হলে বার বার বাঁ হাতি জোরে বোলার দেখলেই কী করে গুটিয়ে যায় ভারতের ‘তারকা-সমৃদ্ধ’ ব্যাটিং লাইন-আপ? বার বার কোনও এক শাহিন শাহ আফ্রিদি বা দিলশান মদুশঙ্কেরা কী ভাবে বিপদে ফেলে দেন ভারতীয় ব্যাটারদের? পাকিস্তানের দলে এ বার ছিলেন না কোনও শাহিন আফ্রিদি। ফলে দু’দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কিছুটা হলেও এগিয়ে থেকে নেমেছে ভারত। সুপার ফোরে তবু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হার এড়ানো যায়নি। প্রতিযোগিতায় প্রথম বার কোনও বাঁ হাতি জোরে বোলারের সামনে পড়তেই কেঁপে গেলেন রোহিত শর্মা, কোহলীরা। ভারতের দুর্বলতার কথা নিশ্চয়ই জানতেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শনাকা। তাই প্রথম ওভারেই লেলিয়ে দেন মদুশঙ্ককে। কেঁপে যান রোহিত এবং কেএল রাহুল। রোহিত তবু পরের দিকে সামলে নেন। রাহুলকে তো শুরু থেকেই নড়বড়ে লাগছিল। কোনও মতে ঠেকাচ্ছিলেন মদুশঙ্কের বল। ভেতরে ঢুকে আসা ডেলিভারিতে বেশ অস্বস্তিতে দেখাচ্ছিল তাঁকে। প্রথম ওভারে মাত্র চার রান এল। তার মধ্যে দু’রান ওয়াইডেই।